আনার হত্যায় আদালতে তোলা হতে পারে জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদককে

|

বা থেকে সাইদুল করিম মিন্টু ও আনোয়ারুল আজীম আনার।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আদালতে তোলা হতে পারে। বুধবার (১২ জুন) তাকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।

আটকের, আরও ৪ দিন আগে থেকে আত্মগোপনে ছিলেন মিন্টু। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতে তোলার পর, এমপি আনার হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমদ ওরফে গ্যাস বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায়, এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পর, যে কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়ে, তাদের একজন সাইদুল করিম।

ডিবি জানায়, এমপি আনার হত্যার মিশন বাস্তবায়নকারীরা তার মুখে চেতনানাশক স্প্রে করার পর তার পোশাক খুলে ছবি তোলা হয়েছিল। সেই ছবি পাওয়া গেছে মিন্টুর মোবাইলে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনারের আসন ঝিনাইদহ-৪ এ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মিন্টু। রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড কিনা, তা নিয়ে চুলচেরা তদন্ত চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে গত ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত ২২ মে জানায় ভারতীয় পুলিশ। তারপর থেকে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এই মামলার আসামিরা হলেন শিমুল ভূইয়া, সিলিস্তি রহমান, তানভীর ভূইয়া, আক্তারুজ্জামান শাহীন, মো. সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজী, চেলসি চেরী, তাজ মোহাম্মদ খান ও মো. জামাল হোসেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো।

এরপর, গত ২৮ মে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ-৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। ধারণা করা হচ্ছে, তা এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস। পরে গত ৯ জুন সকালে কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি হাড়।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply