তামিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন সাকিব

|

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে সারাদেশসহ বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচনার তুঙ্গে উঠে তাদের ‘দ্বন্দ্ব’। প্রায় আট মাস পর এ নিয়ে আবারও মুখ খুললেন সাকিব। দুই ‘বন্ধু’র সম্পর্কে অবনতির জন্য কিছুটা দায় চাপালেন বিসিবি সভাপতি ও বর্তমান ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের ঘাড়েও।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডি সাকিবকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছে— ‘সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপ স্পেশাল’। সেখানে তামিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব।

বিশ্বকাপ খেলতে দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আছেন সাকিব। এই মহাযজ্ঞ শুরুর আগেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মটিতে কথা বলেন তিনি। এতে তামিমের সঙ্গে কথা হওয়া নিয়ে (দ্বন্দ্ব যখন সামনে আসে) সাকিব বলেন, কথা হতো না, এটা একদম ভুল কথা। আমাদের একসময় যে সম্পর্কটা ছিল, সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকতাম, ওই সম্পর্কটা অনেকদিন ধরেই ছিল না।

সাকিব এরপর পারিবারিক জীবনের প্রসঙ্গ টানেন। একসময় একই ভবনের ওপরতলা ও নিচতলায় থাকতেন সাকিব ও তামিম। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা ও পারিবারিক দায়িত্ববোধের কারণে বিচ্ছিন্ন হতে হয়। সাকিবের ভাষায়, আমি বিয়ে করলাম। সে (তামিম) বিয়ে করলো। দু’জনের বাসা আলাদা, আলাদা জায়গায় থাকা—এভাবে (দু’জনের) সময়টা অনেক কমে যায়।

টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, স্বাভাবিকভাবেই ওই (পূর্বের) নৈকট্য ধীরে ধীরে কমতে থাকে। মানুষের আলাদা জীবন চলে আসে। আলাদা পারিবারিক জীবন। এই ব্যস্ততাগুলোর সঙ্গে ধীরে ধীরে সময়টাও পাল্টে যেতে শুরু করে।

পাল্টে যাওয়া সেই সময়ের পর কী হলো? জবাবে সাকিব বলেন, তারপর যেটা হয়েছে, মাঠে দেখা হলে যখন কোনো প্রয়োজন হতো, তখনই কথা হতো। এর থেকে খুব বেশি যে কথা বলার দরকারও ছিল, আমার কাছে সেটা মনে হয় না।

তামিম ও সাকিবের মধ্যে কথা না হওয়ার বিষয়টি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সবার সামনে আনার পর বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেন সাকিব। তিনি বলেন, পাপন ভাই বলার পর থেকে এই ব্যাপারটি আরও আলোচনায় চলে আসে। আমার মনে হয় ওটা বেশি সমস্যা তৈরি করেছে এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিংবা এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য।

গত বছর অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে দেশের একটি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারেও তামিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছিলেন সাকিব। তামিম এখন জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও দীর্ঘদিনের সতীর্থকে নিয়ে সেখানে বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। তামিম টিমম্যান কি না, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন সাকিব।

সেই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কোনো বার্তা দিতে চেয়েছিলেন কি না? সাকিব বলেন, না, আমি কাউকে কোনো বার্তা দেয়ার জন্য সাক্ষাৎকার দিইনি। এটা অবশ্যই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল যে (বিশ্বকাপে খেলতে) যাওয়ার আগে সবকিছু পরিষ্কার করে যাওয়া, যাতে করে মানুষ জানে কী হয়েছে এবং কী কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো।

সাকিবের কাছে সরাসরি জানতে চাওয়া হয়, তামিমের সঙ্গে শীতল সম্পর্কটা ঠিক করার কথা কখনও ভেবেছেন কি না? এর জবাবে সাকিব বলেন, এখানে ঠিক-ভালোর কিছু নেই। আমরা যত দিন খেলেছি একসঙ্গে, ড্রেসিংরুম যত দিন ভাগ করেছি, দলের ক্ষতি হোক কিংবা ক্ষতি হবে, এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না। যাদের যতটা অবদান রাখার প্রয়োজন ছিল, সেটা কথা বলেই হোক, না বলেই হোক, কোনো জায়গাতেই এটাতে কখনও সমস্যা ছিল না।

/আরআইএম/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply