চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ইতোমধ্যেই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা সুপার এইটে জায়গা নিশ্চিত করেছে। তবে কোন দল যাবে কোন গ্রুপে জানেন কি? একাটি বেসিক ফরম্যাট ঠিক করা আছে, কোন গ্রুপের কোন দল যাবে কোথায়। কিন্তু সেখানেও ভারতসহ আরও কিছু দলকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে রেখেছে আইসিসি।
প্রথম দেখায় ফরম্যাটটা সহজ মনে হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। গ্রুপ ওয়ানে থাকবে এ গ্রুপেরে শীর্ষ দল অর্থাৎ এ-১, ঠিক তেমনিভাবে পরের তিন দল বি-২, সি-১ ও ডি-২। গ্রুপ দুইয়ের চার দল হবে এ-২, বি-১, সি-২ ও ডি-১। খুব সহজ তাই তো? কিন্তু আসলে নয়।
আইসিসির ফরম্যাট অনুযায়ী গ্রুপ ওয়ানের ১ম দল হবে এ-১। অর্থাৎ এ গ্রুপের শীর্ষ দল ভারত। কিন্তু আইসিসি আগেই বলে দিয়ে ভারত ২ নম্বরে থেকে কোয়ালিফাই করলেও এ ওয়ান হতো। অর্থাৎ সুপার এইটে গ্রুপ ওয়ানেই থাকতো রোহিতরা। যার ফলে গ্রুপ টু-তে যাবে যুক্তরাষ্ট্র বা পাকিস্তান।
গ্রুপ-১ এর দ্বিতীয় দল হবে বি-২ অর্থাৎ গ্রুপ বি-এর দ্বিতীয় সেরা দল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে থাকার পরও তারা থাকবেন এই গ্রুপে। কারণ আইসিসি আগেই তাদের বি-২ হিসেবে চূড়ান্ত করেছে। আর বি-১ হিসেবে গ্রুপ টুতে আইসিসি বুক করে রেখেছিল চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। কিন্তু তারা কোয়ালিফাই করতে না পারলে দুই নম্বর হয়েও তাদের জায়গা নেবে স্কটল্যান্ড।
গ্রুপ ওয়ানের তৃতীয় দল সি-১। এই মুহুর্তের টেবিল অনুযায়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের জায়গা পাবার কথা ছিল এখানে। কিন্তু আইসিসি আগেই নিউজিল্যান্ডকে সি-১ হিসেবে ধরে রেখেছে। সে কারণে গ্রুপ টুতে যাবে ক্যারিবিয়ানরা। আর আফগানিস্তান কোয়ালিফাই করলে তারা জায়গা পাবে গ্রুপ ১-এ।
গ্রুপ-১ এর শেষ দল ডি-২। বর্তমান টেবিল অনযায়ী এই জায়গা নেবার কথা বাংলাদেশ অথবা নেদারল্যান্ডসের। শ্রীলঙ্কার সুযোগ খুব কম। তবে গ্রুপ ডি এর শীর্ষ দল দক্ষিণ আফ্রিকা থাকবে গ্রুপ টুতে। তবে প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় হয়ে কোয়ালিফাই করলেও তারা থাকতো গ্রুপ টুতেই। কারণ আইসিসি আগেই তাদের ডি-২ হিসেবে চুড়ান্ত করেছে।
প্রশ্ন হলো, কেন আইসিসি কিছু দলের জন্য গ্রুপ আগেই ঠিক করে রেখেছে? এর ব্যাখ্যা দেয়নি আইসিসি। তবে দু’টি কারণ হতে পারে। প্রথমত দুই গ্রুপের ভারসাম্য বজায় রাখা। আর দ্বিতীয়ত, বড় দলগুলোর পছন্দের ভেন্যু আর আরামদায়ক সূচি নিশ্চিত করা।
/আরআইএম/এমএন
Leave a reply