টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে পুঁজি কেবল ১৫৯ রান। নেদারল্যান্ডসের জন্য এই রানটা বড় হওয়ার-ই কথা। কিন্তু তাদের ব্যাটিং দেখে বোঝাই যাচ্ছিলো বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কতটা মরিয়া তারা। এক পর্যায়ে ৩৩ বলে ডাচদের দরকার ছিল ৪৯ রান, হাতে ৭ উইকেট। জয়ের সম্ভাবনায় তখন অনেকটাই এগিয়ে ছিল ডাচরা। তবে পরের তিন বলে কোনো রান না দিয়ে দুটি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। মোস্তাফিজুর রহমান উপহার দেন দুর্দান্ত দুটি ওভার। ম্যাচশেষে জেতার কৃতিত্বটা তাই দুই সতীর্থকে দিলেন সাকিব আল হাসান।
সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়ে সুপার এইটে এক পা দিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে সাকিবের ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রানে ১৫৯ করে ডাচদের আটকে রাখে ১৩৪ রানে। ব্যাটিংয়ে ৪৬ বলে ৬৪ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলায় ২০২১ সালের পর সাকিবের হাতে আবার উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ব্যাটিংয়ে সাকিব ১৯ ইনিংস পর পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সাকিব বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল উপরের সারির ৪ ব্যাটারের মধ্যে কাউকে পুরো ইনিংস ধরে খেলতে হতো। ভালো লাগছে আমি ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পেরেছি। শুরুর দিকে ইনিংস এতটা সহজ ছিল না। আমাদের স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে হয়েছে এবং ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে হয়েছে। আমি বলবো না এটা জেতার মতো সংগ্রহ ছিল। কিন্তু এটা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ ছিল।
সাকিব ম্যাচসেরা হলেও এই ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনকে দিয়েছেন। মোস্তাফিজ শেষ দুই ওভারে মাত্র খরচা করেছেন ৪ রান। এর মধ্যে ১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান খরচা করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এই বাঁহাতি পেসার। আর রিশাদ হোসেন ১৬তম ওভারে জোড়া উইকেটের পর ইনিংসে ১৮তম ওভারে আরও একটি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের নাগালে এনে দেন ম্যাচ। তাই তাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাকিব।
সাকিব বলেন, বোলাররা নিখুঁতভাবে নিজেদের কাজটা করেছে, বিশেষভাবে ফিজ ও রিশাদ। এই দুজনই নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে। শেষ ৪-৫ বছরে এখানে খুব বেশি খেলা হয়নি। আমরা জানতাম না এখানে কেমন সংগ্রহকে ভালো সংগ্রহ বলা যাবে। এ কারণেই আমরা উইকেট হাতে রেখে খেলেছি এবং ১৪-১৫ ওভারের সময় আমরা সিন্ধান্ত নিয়েছি যত বেশি সম্ভব যাওয়া যেতে পারে। বিশ্বকাপে ১৬০ রান চ্যালেঞ্জিং এবং ঐটা প্রমাণ হয়েছে।
/আরআইএম
Leave a reply