শেবাগের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নে সাকিব বললেন, ‘হু?’

|

আঠারো বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পারফরম্যান্স নিয়ে কখনোই ভাবতে হয়নি সাকিব আল হাসানকে। ব্যাটিং না হয় বোলিং, যেকোনো একটি দিয়ে পুষিয়ে দিতেন তিনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে দুইটির একটিতেও জ্বলে উঠতে পারছিলেন না তিনি। ব্যাট ঠিকঠাক কথা না বলার পাশাপাশি বোলিংয়েও পাচ্ছিলেন না বলার মতো সফলতা।

অবশেষে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাংলার ক্রিকেটের নবাব। তাতে বাংলাদেশ ২৫ রানে জয় পেয়েছে। চাপকে জয় করে নিজের জাত চিনিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিবের সরল স্বীকারোক্তি, আল্লাহ আমার প্রতি সবসময়ই দয়ালু।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পর সাকিবের সমালোচনা করেছিলেন ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেবাগ। ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে সাকিবকে অবসর নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। ক্রিকবাজের একটি শোতে শেবাগ বলেছিলেন, সাকিব খুবই অভিজ্ঞ, আবার অধিনায়কও ছিল। কিন্তু পরিসংখ্যান এমন! সাকিবের লজ্জা পাওয়া উচিত এবং এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়া উচিত।

ম্যাচ শেষে শেবাগের এই কমেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশ্নদাতাকে থামিয়ে দেন সাকিব। বলেন, ‘হু?’ যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘কে?’ এরপর প্রশ্নদাতা আবারও বলেন বীরেন্দ্র শেবাগ।

এরপর সাকিবের সহজ ভঙ্গিতে জবাব, একজন খেলোয়াড় কখনও প্রশ্নের উত্তর দিতে আসে না। তার কাজ হচ্ছে দলের জন্য অবদান রাখা। এখানে আসলে উত্তর দেয়ার কিছু নেই কাউকে। একজন খেলোয়াড় যখন দলের জন্য অবদান রাখতে পারে না স্বাভাবিকভাবে কথা হবে। আমি মনে করি সেটা খুব একটা খারাপ কিছু না।

অবশ্য ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের এই ভিডিওক্লিপ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব হয়েছেন সাকিব ভক্তরা। সাকিবের ‘হু’ বলার ধরণের সঙ্গে মেলানো হচ্ছে নানান ধরনের ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও। তারা হয়তো বুঝাতে চাচ্ছেন, বাংলার ক্রিকেটের নবাব এভাবেই ফিরে আসেন বারবার। ক্যামেরার সামনে নয়, জবাব দেন ২২ গজে। এভাবেই বন্ধ করেন সমালোচকদের মুখ।

দলের হয়ে অবদান রাখতে পেরেই খুশি সাকিব। নিজের বিষয়ে কখনোই চিন্তিত ছিলেন না জানিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, আমার ক্যারিয়ারে মনে করি না কখনও এ রকম চিন্তা করেছি। দলের জন্য যদি অবদান রাখতে পারি সেটা ভালো লাগে। আজকে হয়তো আমার দিন ছিল, সামনের ম্যাচে হয়তো অন্য কারও দিন আসবে।

গ্রুপ পর্বে আগামী সোমবার (১৭ জুন) নেপালের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচ জিতলে আনুষ্ঠানিকভাবে সুপার এইট নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ঈদের দিন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ম্যাচটি।

/এমএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply