১৫৯ রানের লক্ষ্যে ৬৯ রানে ৩ টপ অর্ডারকে হারালেও কক্ষপথেই ছিল নেদারল্যান্ডস। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও সাইব্র্যান্ডের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয়ের পাল্লা তখন ডাচদের দিকেই। আর তখনই দৃশ্যপট পাল্টে দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
২২ বলে ৩৩ রান করা সাইব্র্যান্ডকে ফিরিয়ে এই বোলার আঘাত হানেন নেদারল্যান্ডস শিবিরে। একই ওভারে সাজঘরে ফেরান বাস ডি লিডকেও। নিজের শেষ ওভারে তালুবন্দী করেন লোগান ভ্যান বিককে। তার এই এক স্পেলেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। ২৫ রানের স্বস্তির জয় পায় বাংলাদেশ— এমনটাই মনে করেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল।
ম্যাচ শেষে ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে তামিম ইকবাল বলেন, রিশাদের তৃতীয় ওভার ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। ওই সময়ে দুই দলেরই সমান সুযোগ ছিল। খেলাটা কোন দিকে যাবে, সেটা নিশ্চিত ছিল না। তবে নেদারল্যান্ডস ঠিক পথেই এগোচ্ছিল। রিশাদের ওভারে তাদের সুযোগ নিতেই হতো। সে চেষ্টাও তারা করেছে। তবে এই ওভারটা অবিশ্বাস্য ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে অনেকেই সাকিবের শেষ দেখলেও ঠিকই বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তামিম। নেদারল্যান্ডস ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াবেন সাকিব, সেই প্রত্যাশার কথাও জানিয়ে রেখেছিলেন। অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসে সাকিব আস্থার প্রতিদান দেয়ায় খুশি তামিম।
এ নিয়ে তিনি বলেন, সে ভালো ক্রিকেটার, তা নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই। আমরা ওর মূল্য বুঝি। সে ১৬-১৭ বছর ধরে নিজের কাজটা করে যাচ্ছে। কিছু খারাপ সময় পার করেছে। অনেক সমালোচনাও হয়েছে। সবমিলিয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেছে সে। বিশেষ করে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছে, যা এই উইকেটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রিশাদের ৩ উইকেট শিকার এবং সাকিবের ৬৪ রানের ইনিংসে অনেকটা আড়ালেই পড়ে গেছে মোস্তাফিজের দ্বায়িত্বশীল বোলিং। তবে তা চোখ এড়ায়নি তামিম ইকবালের। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করা ফিজের উচ্ছসিত প্রশংসা ঝরেছে তামিমের কন্ঠে।
তামিমের মতে, মোস্তাফিজ যেভাবে বল করেছে, তা অবিশ্বাস্য। সে সবসময়ই কঠিন ওভারগুলো করে থাকে। এই কাজটাই সে ভালোভাবে করছে। এই উইকেট বাংলাদেশের জন্য মানানসই, অনেকটা দেশের মাটিতে খেলার মতো।
উইন্ডিজের উইকেটে অনেকটা ঘরের মাঠের সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই এবারের আসরে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছেন দলের বাইরে থাকা সাবেক এই অধিনায়ক।
/আরআইএম/এমএন
Leave a reply