সিকিমে বন্যা-ভূমিধস, ১০ বাংলাদেশিসহ আটকা দেড় হাজার পর্যটক

|

ভারতের সিকিমে টানা বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৬ জন। বৈরি প্রতিকূল পরিবেশে সেখানে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। যাদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি রয়েছে। এছাড়া ৩ জন নেপালি ও ২ জন থাইল্যান্ডের পর্যটকও রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরের মঙ্গন জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ভূমিধস হয়েছে। এতে জেলাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

মঙ্গনের জেলা প্রশাসক হেম কুমার ছেত্রী বলেছেন, টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে। ভূমিধসে একাধিক জায়গায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ জেলা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, আটকা পড়া পর্যটকরা সবাই নিরাপদে আছেন। তবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আমরা তাদের সরিয়ে নিতে পারছি না।

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর শপখগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকার ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ এবং মানুষের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে।

গতবছর বন্যায় ভেঙে যাওয়া একটি বেইলি সেতু নতুন করে বানানো হয়েছিল। পুনর্নির্মিত সেতুটি এবারও বন্যায় ভেঙে গেছে। ধস নেমে বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তা। বহু বাড়ি ভেঙে গেছে। দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই এলাকা।

জানা যায়, তিন দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়াতে প্রায় ৫০টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিন দেশের মাঝখানে হওয়ায় এবং হিমালয় পাদদেশে ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেও সিকিমের বৃষ্টি আপাতত না থামার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছে সেখানকার আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, ভুটান, চীন ও নেপালের মাঝে অবস্থিত সাড়ে ছয় লাখ মানুষের ছোট্ট বৌদ্ধ রাজ্য সিকিম জনপ্রিয় একটি পর্যটন গন্তব্য। কিন্তু হিমালয়ের চরম আবহাওয়ার কারণে প্রতি বছরই এ অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়। আগামী দুই দিন সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। বুধবার গ্যাংটকে ৬১, গেজিংয়ে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাভাংলাতে হয়েছে ১১৯ মিলিমিটারের বেশি। কেবলমাত্র মঙ্গন জেলাতেই হয়েছে ২২০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply