টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জমে উঠেছে সুপার এইটের লড়াই। এরইমধ্যে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলেছে ছয়টি দল। সুপার এইটের জন্য বাকি রয়েছে মাত্র দুটি জায়গা। ‘বি’ ও ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দুইটি দল জায়গা পাবে সুপার এইটের।
ক্রিকেটকে গ্লোবালাইজড করতে এবারই প্রথম ২০ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে আইসিসি। উন্ডিজের সাথে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে আছে যুক্তরাষ্ট্র। বেসবল-বাস্কেটবলের দেশে প্রথমবারের মতো আইসিসির ইভেন্ট আয়োজন করে হৈচৈ ফেলে দেয় মার্কিনিরা। তবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে উইকেট ও আউটফিল্ড।
গ্রুপ পর্বের খেলা এখনো বাকি থাকলেও এরই মধ্যে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ছয়টি দল। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, উইন্ডিজ রয়েছে এই তালিকায়। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দল।
কাগজে-কলমে সুপার এইটের কক্ষপথে থাকলেও এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি বাংলাদেশের নাম। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডের দৌঁড়ে টাইগারদের সাথে কাগজে-কলমে আছে নেদারল্যান্ডস। পরের ম্যাচে বাংলাদেশ নেপালকে হারালে কিংবা শ্রীলঙ্কার সাথে নেদারল্যান্ডস হারলে সুপার এইট নিশ্চিত হবে শান্তদের। নেদারল্যান্ডস যদি পরের ম্যাচ হারে তাহলে নেপালে বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় না পেলেও পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর বি-গ্রুপ থেকে সুপার এইটে উঠবে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার যেকোনো একটি দল।
১৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে সুপার এইট পর্বের লড়াই। কিছুটা জটিল সমীকরণে চলবে এই পর্বের খেলা। আইসিসি’র নিজস্ব ফরম্যাটে এখানে থাকছে গ্রুপ ওয়ান ও গ্রুপ টু। প্রথম ম্যাচে গ্রুপ-টু’র খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র। এই গ্রুপে এই দু’টি দল ছাড়াও আছে স্বাগতিক উইন্ডিজ। তবে, সুতোয় ঝুলছে দুই প্রতিবেশী ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের ভাগ্য।
বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে গ্রুপ-ওয়ানের ডি-টু দল হয়ে সুপার এইটে খেলার। পরের রাউন্ডে গেলে বাংলাদেশ ২১ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে। পরদিন ২২ জুন শান্ত-সাকিবদের প্রতিপক্ষ হবে ভারত। আর ২৫ জুন শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
সুপার এইটের পর ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ২৯ তারিখে ফাইনাল ম্যাচের মধ্যদিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের।
/এনকে
Leave a reply