রাত পোহালেই চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

ফাইল ছবি।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, চাঁদপুর:

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার (১৬ জুন) চাঁদপুরের প্রায় ৪০টির বেশি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। এ জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা। হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে উদযাপন হবে ঈদ।

বিশ্বের যে কোন স্থানে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে ঐতিহ্যগতভাবে এই গ্রাম গুলোতে পালিত হয় ঈদ। সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরীর অনুসারীরা গত ৯৬বছর আগে থেকে সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।

দরবার শরীফ সংলগ্ন সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের জামাতের ইমামতি করবেন দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী। আরেক আওলাদে পীর ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত বলেন, আমরা চাঁদ দেখার ভিত্তিতে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করি, যা কুরআন ও হাদিস সম্মত।

ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, শ্রীনারায়নপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর। অপরদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে উদযাপিত হবে ঈদুল আযহা।

উল্লেখ্য, সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে প্রথম চাঁদ দেখার উপর মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। মাওলানা ইছহাকের মৃত্যুর পর থেকে তার ৬ ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।

/এমএইচআর