ভাই গরুর দাম কতো, জিতছেন তো, আপনাদের গরুর চেয়ে আমাদের গরুটা বেশি বড়, অথবা এই গরুতে মাংস বেশি হবে….কিংবা গরুটার বংশ ভালো, খেতে স্বাদ হবে। কোরবানির ঈদের সময় এমন আমিত্ব বা অসম প্রতিযোগিতার বহিপ্রকাশ দেখা যায় হরহামেশাই। কিন্তু ইসলাম ধর্মে কোরবানির প্রকৃত মাহাত্ম কি আদৌ এমন বার্তা দেয়?
এ ব্যাপারে যমুনা নিউজের সাথে কথা বলেন ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা নিজাম বিন মোহিব। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে এখন শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতার কোরবানি। কার পশু বড় কার পশু ছোট এসব নিয়ে প্রতিযোগিতা করছি। কিন্তু আমার আপনার নিয়তে যদি গণ্ডগোল থাকে, নিয়তকে খালেস করতে না পারি অর্থাৎ পরিশুদ্ধ করতে না পারি, তাহলে কিন্তু কোরানিটাই বরবাদ হয়ে যাবে।
ইসলামি চিন্তাবিদরা মনে করেন, ঈদে কোরবানির পশুর দাম, সাইজ কিংবা ওজন নিয়ে যে শোঅফ করা হয়, সেটা কোনোভাবেই ইসলাম ধর্মের বিধান সম্মত নয়। তিনি বলেন, বংশ মর্যাদার এই বিষয়টি কোনোভাবেই ইসলামের সাথে যায় না।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, পশুর ওপর অনেক সময় ওঠার চেষ্টা করছে, অথবা নিজের বাচ্চাকে পশুর ওপর তুলে দিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করছে এগুলো অত্যন্ত অমানবিক আচরণ। একজন ইমানদার হিসেবে, একজন মুসলিম হিসেবে এ কাজগুলো আমরা করতে পারি না।
যদিও অনেকেই নিজের অজান্তে কিংবা সামাজিক প্রথার অংশ হিসেবেই, এ ধরনের আমিত্ব চর্চা করেন। শোঅফের উদ্দেশ্যে কোরবানির পশু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেয়াকে সামাজিক ও ধর্মীয় চেতনার পরিপন্থি মনে করেন, এই চিন্তাবিদ।
ইসলাম ধর্মে ঈদুল আজহার বিধান অনুসারে, বান্দার প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর নামে কোরবানি দিতে হয়; যার মাধ্যমে বিসর্জন দেয়া হয় মানুষের পশুত্ব, হিংসা-বিদ্বেষ আর লোভ লালসা। কোরবানির প্রকৃত মাহাত্মকে ধারণ করে মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে কোরবানি করবেন তখন ইসলাম ধর্মের শান্তির বার্তা পৌঁছে যাবে সমাজের প্রতিটি স্তরে।
/এটিএম
Leave a reply