কয়েক বছর ধরেই কোরবানির সময় পশুর চামড়ার ব্যবসা নিয়ে উঠছে নানা অভিযোগ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সরকার দর বেঁধে দিলেও তা মানার বালাই নেই। আড়তে গিয়ে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না মৌসুমি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, লালবাগের পোস্তায় ৭০ হাজার পিস কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে রাখার সক্ষমতা আছে। তবে ঈদের রাতেই ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি চামড়া চলে এসেছে সেখানে। ধারণক্ষমতা ও সংরক্ষণের সক্ষমতা না থাকায় অনেক চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
মৌসুমি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পোস্তা ব্যবসায়ীরা একটি আলাদা সিন্ডিকেট করে রেখেছে। বাহিরের কেউ চামড়া নিয়ে ঢুকতেও পারছে না, বিক্রি করতেও পারছেন না। তবে লোকসানে বিক্রি করলে সব চামড়াই বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তারা।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে ঈদের দিন থেকে সাতদিন রাজধানীর বাইরে থেকে ঢাকায় কাঁচা চামড়া আনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। তা অমান্য করেই ঢাকায় চামড়া নিয়ে এসেছেন বেশ কয়েকটি জেলার ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ঢাকায় চামড়া আনা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছু জানতেন না। অভিযোগ করে বলেন, ট্রাকবোঝাই চামড়া আনলেও পাচ্ছেন না ন্যায্য দাম।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, সাতদিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবুও দেখা গেছে অনেকগুলো চামড়াভর্তি ট্রাক ঢুকেছে। হয়তো সব চামড়া প্রসেসিংয়ে যাবে না। এখান থেকে বাছাই করা হবে।
/এমএইচ
Leave a reply