নির্ঘুম রাতের অপেক্ষা। যে রাতের প্রতিটি সেকেন্ড যেন এক একটি যুগের সমান। এ অবস্থা শুধু আমার নয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লাখো-কোটি আকাশি-নীল সমর্থকদের। আর্জেন্টিনা ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলবে তো?…এই সমীকরণের হিসাব মেলাতেই আজ রাতে দুচোখের পাতা এক করতে পারবেন না আর্জেন্টাইন সমর্থকরা..
তবে কি ১৯৭০ সালের পর আলবিসেলেস্তাদের ছাড়াই হবে বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর?…. বর্তমান প্রজন্মের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের কখনই দেখা হয়নি দলটির সাফল্য। সেই যে ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা কাপ এনে দিয়েছিলেন, তারপর থেকে প্রতিবারই অমিত সম্ভাবনা নিয়ে আর্জেন্টিনা হাজির হয়েছে ফুটবলের বিশ্ব মঞ্চে। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি কখনো। ৯০ দশকের জন্ম নেয়া সমর্থকের কখনোই নিজ চোখে দেখা হয়নি ১৭ হাজার ৫০ কিলোমিটার দূরের লাতিন আমেরিকার দেশটির হাতে শ্রেষ্ঠতের কোন শিরোপা। ম্যারাডোনা থেকে যেই ভালবাসার শুরু, তা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, হার্নান ক্রেসপো হয়ে এখন লিওনেল মেসির কাছে। ভালবাসার মানুষের বদল হলেও, একটুকুও বদলানো না দলটির মাঠের লড়াই। তীরে এসে তরী ডু্বল গেল ২ কোপা আমেরিকা ও ২০১৪ জার্মানি বিশ্বকাপে। ইউরোপের বিভিন্ন লিগে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ৩ ফরোয়ার্ডই আর্জেন্টিনার। লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরো আর পাওলো দিবালা; তারপরও যেন পুরো দলকে জাগিয়ে তুলতে ব্যর্থ কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে জীবন মরণ লড়াই প্রতিপক্সের মাঠে ৯ হাজার ফুট উপরে। যেখানে ২০০১ সালের পর আর হাসি নেই আর্জেন্টিনার। সবকিছুই যেন প্রতিপক্ষ। তবে; জয় পরাজয় বা ড্র রাশিয়ার বিমানের টিকিট কাটতে চোখ রাখতে হচ্ছে অনেকগুলো যদি-কিন্তুর উপর। তবে, কি আজন্ম লা্লিত আক্ষেপই যুক্ত হবে লিওনেল মেসির অগণিত ভক্তকূলের। স্বপ্নের সলিল সমাধী নয়, বরং আবারও বিশ্বাস রাখতে চাই, এই আর্জেন্টিনা দলের উপরই।
নাভিল খান
ক্রীড়া সাংবাদিক, যমুনা টিভি
Leave a reply