গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সরকারি গাড়ি চাপায় গাইবান্ধায় রহিমা বেগম (৭৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গাড়ির চালক শহিদুল ইসলামসহ সরকারি গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুন) সকালে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমড়পুর নামক এলাকার গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা বেগম ওই এলাকার আবু মন্ডলের স্ত্রী। দরিদ্র রহিমা বেগম কোমড়পুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি সরকারি ঘরে থাকতেন।
অপরদিকে, পুলিশের হাতে আটক চালকের নাম শহিদুল ইসলাম (২৮)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার করটিয়া কাজিবাড়ি এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে রহিমা বেগম রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তার রাস্তা পার হওয়া দেখে অপর একটি প্রাইভেটকার রাস্তার বাম পার্শ্বে দাঁড়িয়েছিল। এ সময় পলাশবাড়ির দিক থেকে আসা গাইবান্ধাগামী একটি গাড়ি দাঁড় হওয়া গাড়িটিকে দ্রুতগতিতে ডানদিক দিয়ে অতিক্রম করে। এতেই রহিমা বেগম সরকারি গাড়িটির নিচে চাপা পড়েন। এতে গুরতর আহত হন ওই নারী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সাজ্জাত হোসাইন, তার স্ত্রী ও এক ছেলে গাড়িতে ছিলেন। তিনি গাইবান্ধার পৌর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ওই গাড়ি করে ঈদের দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিকেলে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চালকসহ সরকারি গাড়িটি আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সাজ্জাত হোসেন ও গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
/এটিএম
Leave a reply