ভারতে টানা তৃতীয়বার বিজেপি সরকার গঠনের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আজ শুক্রবার (২১ জুন) বেলা দুইটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে পালাম বিমান বন্দরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে তার। দুই দিনের সফরে এবার প্রতিরক্ষা অংশীদারীত্বসহ বিভিন্ন ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে বলা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনায় তিস্তা নয়, প্রাধান্য পাবে গঙ্গা চুক্তি। এছাড়া, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ঋণচুক্তি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের বিনিয়োগ এবং মোংলা বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা করবেন দুই সরকারপ্রধান।
আজ শুরু হওয়া সফরের মধ্য দিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ৯ জুন মোদি সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, সবসময় দুইটি ইস্যু সামনে আসে। এর একটি তিস্তা, অপরটি সীমান্তে হত্যা। এসব বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম খান বললেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয়টি এখনও অমিমাংসিত আছে। তাই এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি আসতে পারে।
এই সফরেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে আশাবাদী নন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আসতে পারে নতুন বার্তা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, এই সফরে বড় কোনো পরিবর্তন হয়ে যাবে তা আমি মনে করি না। একটি বিষয় আছে, গঙ্গার পানি চুক্তি শেষ হয়ে আসছে। আমি আশা করবো, যেকোনো নির্দেশনা অন্তত এখান থেকে আসবে। ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারি কীভাবে ভাগাভাগি করবো এ নিয়ে।
সাহাব এনাম খান বলেন, তিস্তা ব্যারেজ করতে ভারত আগ্রহী বলে আমরা যতদূর জানি, সেক্ষেত্রে দুইটি দেশের আর্থিক ও টেকনিক্যালি সক্ষমতা কতটুকু, তা আলোচনা হবে বলে মনে করি।
ভারত থেকে ফিরে আগামী মাসে চীনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আঞ্চলিক নানা কৌশলের কারণে এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
/এমএইচ
Leave a reply