কামিন্সের হ্যাটট্রিকে ১৪০ রানে থামলো বাংলাদেশ

|

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ টপ অর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই টপ অর্ডারে রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। কিন্তু, টপ অর্ডারে কিছুটা স্বস্তি মিলতেই মিডল অর্ডারে ধস। ফিনিশিংয়েও মেটেনি প্রত্যাশা। বরং চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে ১৪০ রানে আটকে দিয়েছেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স। তার বোলিংয়ের দিনে সুপার এইটের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৪১ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ।

এদিন টসের আগেই হানা দেয় বৃষ্টি। ফলে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৫ মিনিট পর টস হয়। শুক্রবার (২১ জুন) অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ।

ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিচেল স্টার্কের সোজা বল সামান্য নিচু হয়েছিলো, ডিফেন্স করতে গিয়ে সামলাতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন তিনি।

ক্রিজে এসেই মিচেল স্টার্ককে চার মেরে শুরু করেন শান্ত। আরেক প্রান্তে লিটন তখন খোলসবন্দি। জশ হ্যাজেলউডকে প্রথম ওভার দেন মেডেন। ১০ বলে গিয়ে করেন ১ রান। এরপর কিছুটা ডানা মেলে মিচেল স্টার্কের বলে বের করেন দুই বাউন্ডারি।

শান্ত ছিলেন সাবলীল, রানের খোঁজে থেকে গতি বাড়ান নিয়মিত। অ্যাডাম জাম্পাকেও সুযোগ পেয়ে মারেন চার। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৩৯ তুলে বাংলাদেশ। লিটন পাওয়ার প্লের পরও ভুগতে থাকেন। একের পর এক ডটের চাপ তাকে ও দলকে দেয় অস্বস্তি। সেই অস্বস্তি দূর করতে অ্যাডাম জাম্পাকে স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ডানহাতি ব্যাটার। ২৫ বলের উপস্থিতিতে তিনি করেন স্রেফ ১৬ রান।

এরপর নামিয়ে দেওয়া হয় রিশাদকে। কিন্তু উইকেটে এসে তিনি টেকেন মোটে ৪ বল। দুই রান যোগ করতে পারা রিশাদকে ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। 

জোড়া উইকেট হারানোর মাঝে টিকে যাওয়া শান্ত এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। ১৩তম ওভারে অধিনায়কের প্রতিরোধ ভেঙে অসিদের স্বস্তি ফেরান জাম্পা। তার স্টাম্প লাইনের ডেলিভারি সুইপ খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন শান্ত। বক প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন তোলে অস্ট্রেলিয়া,তাতে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ফলে ৪১ রান করে ভাঙে শান্তর প্রতিরোধ। মাঝে উইকেটে এসে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান।

তবে উইকেটে এসে বাংলাদেশের রানের গতি বাড়াতে দারুণ ভূমিকা রাখেন তাওহিদ হৃদয়। আজও শেষ দিকে বাংলাদেশের রানের গতি বাড়ান তিনি। তাতে সফলও হয়েছেন। ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে বাংলাদেশকে ১৪০ রানের পুঁজি এনে দেন তরুণ এই ব্যাটার। 

তবে এই রানটা আরও বাড়ত, যদি না হ্যাটট্রিক করে বাধা হয়ে দাঁড়াতেন প্যাট কামিন্স। একে একে মাহমুদউল্লাহ, তাওহিদ ও শেখ মেহেদিকে ফিরিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই অজি পেসার। ২৯ রান দিয়ে সেরা বোলারও আজ তিনি। এ ছাড়া ২৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন অ্যাডাম জাম্পা।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply