অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর বেঁচে থাকার লড়াইয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আর এই লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে জয় ছাড়া বিকল্প নেই টাইগারদের। কিন্তু দুই দলের অতীত রেকর্ড বলছে এই ম্যাচে এগিয়ে থাকবে ভারত।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। তার মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই মুখোমুখি হয়েছে চারবার। এর মধ্যে প্রতিবারই হেরেছে টাইগাররা। বিশ্বকাপের চার পরাজয়সহ মোট ১৩ ম্যাচের ১২টিতে হারানোর রেকর্ড রয়েছে ভারতের। তবে ২০১৯ সালে ভারতের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের ১টি ম্যাচ ভারতকে হারাতে পেরেছিল টিম টাইগার্স।
আগের সব সমীকরণ ভুলে ভারতকে হারাতে হলে করতে হবে সঠিক পরিকল্পনা। সেইসাথে মাঠে সেটাকে শতভাগ বাস্ততবায়নও করতে হবে।
চলতি আসরে ভারত এখনও ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে খেলেনি। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই মাঠের উইকেটের চরিত্র তো মোটামুটি সবারই জানা। ভারতের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, উইকেট স্পিনারদের কিছুটা সহায়তা করবে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত উইকেট ভালো বললেও একটু স্লো হতে পারে সেটাও উল্লেখ করেছিলেন। অর্থাৎ, বল একটু থেমে আসবে এবং তাতে স্পিনারদের বাঁক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে স্পিনাররাই খেলার সমীকরণ গড়ে দিতে পারে।
দুই দলে রয়েছে বেশ স্পিন বৈচিত্র্যে। ভারতের দুজন বাঁহাতি স্পিনার এবং কুলদীপ বাঁহাতি চায়নাম্যান। অন্যদিকে বাংলাদেশ বৈচিত্র্যে একটু এগিয়ে। ডানহাতি অফ স্পিনার মাহাদী, বাঁহাতি সাকিব এবং অন্যজন ডানহাতি লেগ স্পিনার রিশাদ। ভারত আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে যে একাদশ খেলিয়েছে, সেখানে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে চারজন ডানহাতি এবং দুজন বাঁহাতি। ম্যাচের সমীকরণ গড়তে ডানহাতিদের বিপক্ষে রিশাদ ও সাকিবকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিপজ্জনক বাঁহাতি ওপেনার ট্রাভিস হেডকে তুলে নেয়া রিশাদ জায়গামতো বল করাতে বেশ দক্ষতা দেখাচ্ছে।
তবে আভিজ্ঞতা বিবেচনায়ে ভারতের ভারতের স্পিনাররাই এগিয়ে থাকবে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভারতের স্পিনারদের পারফরম্যান্সে বেশ ভালো বলা যায়। রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ জাদব বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে আক্সার প্যাটেল এই বিশকাপে সবচেয়ে ধারাবাহিক। নিউইয়র্কের উইকেট পেসবান্ধব হলেও তার বোলিং এমন উইকেটেও বেশ কার্যকর ছিল।
শুধু ব্যাটিং-বোলিং কিংবা ফিল্ডিংয়েই না। চিন্তার আরেকটি বড় কারণ ক্যারিবিয়ান সাগরের বাতাস। ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম থেকে ক্যারিবিয়ান সাগর কাছে থাকায় মাঠে বাতাস থাকার সম্ভবনা আছে। স্বাভাবিকভাবেই এটি একটি বড় প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে। অধিনায়কদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে বোলারদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
ভিরাট-রোহিতদের আটকাতে হলে সবচয়ে বড় দায়িত্ব নিতে হবে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। ভারতের বিপক্ষে স্পিনারদের মধ্যে সাকিবের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। টি–টোয়েন্টিতে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ৭ ইনিংসে ২৫ ওভার বল করে উইকেট নিয়েছেন ৬টি। ইকোনমির দিক দিয়েও সাকিব বেশ কঠোর ছিলেন আগের সাত ইনিংসে। তাই ভারত বধে টাইগার আলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জ্বলে ওঠা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
/ওআইবি/এমএইচআর
Leave a reply