টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে শক্তিশালী অষ্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। রোববার (২৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে আফগান বোলারদের তাণ্ডবে চার বল বাকি থাকতেই ১২৭ রানে অলআউট হয় অষ্ট্রেলিয়া।
১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় অজিরা। প্রথম ওভারেই নাভিন উল হকের বলে বোল্ড হন অজি ওপেনার ট্রাভিস হেড। এরপর শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু তৃতীয় ওভারেই নাভিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন মার্শ। মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত ৩ রানে মোম্মদ নবীর বলে ক্যাচ দিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এতে পাওয়ার প্লে শেষে অষ্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন উইকেটে ৩৩ রান।
ক্রিজে তখন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্ক স্টোয়েনিস। আফগান বোলারদের ওপর একাই তান্ডব চালান ম্যাক্সওয়েল। পনেরোতম ওভারে ৫৯ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন ম্যাক্সয়েল। ইনিংসটি তিনি ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজান। ম্যাচ জিততে শেষ ৫ ওভারে তখন ৪১ রান দরকার অষ্ট্রেলিয়ার।
এরপরেই শুরু হয় নাটকীয়তা। স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ করতেই একে একে তিনটি উইকেট হারায় অষ্ট্রেলিয়া। এতে ৯ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৬ তম ওভারের রশিদ খানের বলে ম্যাথু ওয়েড, ১৭ তম ওভারের গুলবাদিনের বলে প্যাট কামিন্স ও ১৮ তম ওভারে নাবিনের বলে এস্টন আগার আউট হন। জেতার জন্য ১২ বলে ৩৩ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার সামনে। হাতে মাত্র এক উইকেট। ১৯ তম ওভারে আসে ৯ রান। শেষ ওভারের আজমত উল্লাহর বলে অ্যাডাম জাম্পা ক্যাচ আউট হলে ১২৭ রানেই শেষ হয় অষ্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনে শুরু করেন আফগান দুই ওপেনার রাহমান উল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরান। এরপর সুযোগ বুঝে মারতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। প্রথম দশ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। পরের ৫ ওভারে আসে ৪৫ রান। ১৬ তম ওভারে মার্কুইস স্টোয়েনিসের বলে আউট হন গুরবাজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৬০ রানের একটি দারুণ কার্যকরি ইনিংস খেলেন তিনি। চারটি চার ও চারটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।
১৬ তম ওভারে ইবরাহিম জাদরান ও আজমত উল্লাহর উইকেট তুলে নেন অ্যাডাম জাম্পা। ৫১ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলেন জাদরান। পরের তিন ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৭ রান আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়। এতে ১৪৮ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান।
/আরএইচ
Leave a reply