‘বাবা বলতেন, কষ্টের কথা শুনিস না, সহ্য করতে পারবি না’

|

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় সন্তান হিসেবে পাশে থেকে দেখেছি তার স্বপ্ন। দেশের মানুষের ভাগ্য তিনি কীভাবে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। বাবা কখনও নিজের কষ্টের কথা বলেননি। শুধু বলতেন, কষ্টের কথা শুনিস না। সহ্য করতে পারবি না।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় একথা বলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দেশের জন্য করে গেলেন, তিনিই হত্যার শিকার হলেন। তিনি তো কিছু নিয়ে যাননি, কিছুই নিয়ে যাননি। তিনি তার রক্তের ঋণ নিয়ে শোধ করে গেছেন।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বলেন, ওই সময় আমি ও আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। একদিন শুনলাম, বাবা-মা-ভাই-বোনদের হত্যা করা হয়েছে। ছোট্ট ভাইটির বয়স ছিল ১০ বছর। সেও রেহাই পায়নি ঘাতকদের হাত থেকে। এভাবে সব আপনজন হারালাম। আমরা আশ্রয় পেয়েছিলাম ভারতে। তখন জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায়। আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথের একটি উক্তি বঙ্গবন্ধু বলতেন। ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ভয় নাই ওরে ভয় নাই/নিঃশেষে প্রাণ, যে করিবে দান/ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ তিনি যে একথা উচ্চারণ করতেন, কত সত্য কথা!

ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে ঠিকই, কিন্তু তার আদর্শকে কেউ হত্যা করতে পারেনি বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তাই শত বাধা-বিঘ্ন উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসেছি। শুধু একটা চিন্তা থেকে, এ দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে হবে।

নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। তাই মৃত্যুকে ভয় পাই না। সুকান্তের ভাষায় তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’।

/এমএমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply