ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা ছাড়াও পুলিশের আরও দুজন নন-ক্যাডার সদস্যের বিরুদ্ধেও তদন্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম সাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জিসানুল হকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশ সার্ভিস রুল অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
আছাদুজ্জামান মিয়াকে নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়ে সাবেক ডিএমপি কমিশনারের ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রাইবার অ্যাপলিকেশন ফরম বা ইএসএএফ। যা মূলত মোবাইল গ্রাহকেরা পূরণ করে থাকেন। যেখানে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, আঙুলের ছাপসহ বিস্তারিত তথ্য থাকে।
ফরমটি প্রকাশের পর পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়। ফরমের কিউআর কোড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গাজীপুর মহানগর পুলিশের বৈধ আড়ি পাতা শাখার একজন এএসআই ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার থেকে এটি ডাউনলোড করেছেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার পদের এক কর্মকর্তা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আছাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনের তথ্য চেয়ে বৈধ আড়ি পাতা শাখার এক এসআইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দেন। সেই বার্তার ভিত্তিতে তিনি অন্য একজন এএসআইকে সেটা ডাউনলোড করতে বলেন। পরে সেটা কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়। তদন্তে দেখা যায় অনলাইনে প্রকাশিত ফরমটি হুবহু সেই ফরম।
নিশ্চিত হবার পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে বিষয়টি জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায়। পরে সে অনুযায়ী নেয়া হয় ব্যবস্থা।
/এমএমএইচ
Leave a reply