তিস্তার পানি ভাগাভাগি সম্ভব নয়: মোদিকে মমতার চিঠি

|

সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রতিনিধি:

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তার রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কোনো আলোচনা করা উচিত হবে না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে তিনি এ কথা বলেন। তার অভিযোগ, তাকে না জানিয়েই মোদি সরকার বাংলাদেশকে পানি বিক্রি করতে চাইছে।

চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও খাওয়ার জন্য পানির প্রয়োজন হয়।

তিনি আরও বলেন, তিস্তায় পানির প্রবাহ বছরের পর বছর ধরে কমে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করা হলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপর্যাপ্ততার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

চিঠিতে মমতা বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন এবং ফারাক্কা চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনাই রাজ্য সরকারের সম্পৃক্ততা ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে করা উচিত নয়। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের স্বার্থ সবার আগে, যার সঙ্গে আপস করা উচিত নয়।

সম্প্রতি ভারত সফর করা শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির নয়াদিল্লিতে আলোচনার কয়েকদিন পর মমতা এই চিঠি দেন। আলোচনার পর মোদি ঘোষণা করেন, বাংলাদেশে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য শিগগির একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে পাঠানো হবে এবং ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া ১৯৯৬ সালের গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়নের বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানি বণ্টনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে অন্যতম তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি। ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তির স্বাক্ষরের ব্যাপারে সমস্ত প্রস্তুতি নেয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতায় সেই চুক্তি বাস্তবে রূপ নেয়নি বলে অনেকে মনে করেন।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply