সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। এই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে চলে যাবে আফগানিস্তান। আর বাংলাদেশকে সেমিফাইনাল খেলতে হলে ১২ ওভার ১ বলে অর্থাৎ মাত্র ৭৩ বলে লক্ষ্য তাড়া করে জিততে হবে।
তবে ১১৫ রান করার পর চার মারলে সেক্ষেত্রে আরও দুই বল বেশি পাবে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ১১৯ রান করলে বাংলাদেশ পাবে ১২ ওভার ৩ বল। আর আফগানিস্তানের সমান রান তোলার পর ছয় মারলে ১২ ওভার ৫ বল খেলেও সেমি ফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ। যদিও প্রথম ইনিংসের পরই বৃষ্টি শুরু হয়েছে কিংসটাউইনে। বৃষ্টি থামতে দেরি হলে কাটা যেতে পারে ওভার। সেক্ষেত্রে নতুন লক্ষ্য বাংলাদেশের সামনে আসতে পারে।
এর আগে, সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউন আর্নস ভেলেতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। বোলিং সহায়ক উইকেটে শুরু থেকেই আটোসাঁটো বোলিং করেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিপরীতে উইকেটে পড়ে থাকেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তাদের সর্তক ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়েই দলীয় অর্ধশতক ছাড়ায় তারা।
প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান তোলে আফগানরা। দলীয় ৫৯ রানে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। এরপর নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়ে আফগান ব্যাটারদের ওপর চাপ বাড়ান টাইগার বোলাররা। ডট বলের চাপে আগ্রাসী হতে গিয়ে মাত্র ৯৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। আর দলীয় ১০০ করতে ১৮ ওভার ২ বল লাগে আফগানদের। শেষদিকে রশিদ খানের ১০ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে ১১৫ তোলে আফগানিস্তান। টাইগার স্পিনার রিশাদ তিনটি, মোস্তাফিজ ও তাসকিন নিয়েছেন একটি করে উইকেট। আর আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন ওপেনার গুরবাজ।
এই ম্যাচে শুরু থেকেই আটোসাঁটো বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলার তাসকিন-মোস্তাফিজ-রিশাদ-সাকিবরা। দলের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার রিশাদ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৬ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তাসকিন ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১২ রান। সাকিবের ৪ ওভারে ১৯ এবং মোস্তাফিজের ৪ ওভারে ১৭ রান তুলতে পেরেছে আফগান ব্যাটাররা। তবে তানজিম হাসান সাকিব ছিলেন কিছুটা খরুচে। তার ৪ ওভারে ৩৬ রান তুলেছে আফগানিস্তান।
/এনকে
Leave a reply