প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠার কীর্তি গড়ার আসরে, বহু রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলে ৭টি সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ার পর, অবশেষে ফাইনালে প্রোটিয়ারা। এবারের আসরে টানা ৮ম জয় তুলেছে দলটি, যা বিশ্বকাপের যৌথ সেরা। বলের বিচারে আফগানদের বিপক্ষে জয়টি টি- টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জয়। আর আফগানদের বিপক্ষে ১২৪ বলে নিষ্পত্তি হওয়া খেলাটি বিশ্বকাপের সবচেয়ে ছোট ম্যাচ।
সালটা ১৯৯৮, বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রেমিদের মনে থাকার কথা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জ্যাক ক্যালিস, হ্যান্সি ক্রনিয়েদের বিরত্বে ব্রায়ান লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম আসরের শিরোপা জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্ত এরপর আর সেই মাহেন্দ্রক্ষন আসেনি প্রোটিয়াদের ক্রিকেটে। চ্রাম্পিয়নস ট্রফি কিংবা আইসিসির কোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপের শিরোপা জয়তো দুরে থাকা ফাইনালেও উঠতে পারেনি দলটি। প্রায় প্রতি আসরেই কাগজে কলমে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হয়ে শেষ মুহূর্তে পা হড়কেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির নামের পাশে লেগে যায় চোকার তকমা।
অবশেষে সেই মাহেন্দক্ষণ থেকে মাত্র একধাপ দুরে দক্ষিণ আফ্রিক। আফগানিস্তানকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে প্রথমবার যে কোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছে এইডেন মার্করামের দল। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এর আগে সাতবার সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় দিয়েছিলো আফ্রিাকার দেশটি। ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে থামে প্রোটিয়াদের যাত্রা। আর টি-টোয়েন্টিতে ২০০৯ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে সেরা চারে খেলেছিল তারা।
ইতিহাস গড়ার এই ক্যাম্পেইনে অনেক রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের বিপক্ষে এই জয় চলতি আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার টানা অষ্টম জয়। বিশ্বকাপে টানা জয়ের রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার পাশে বসলো তারা। আর ফাইনাল জিতলে অধরা বিশ্বকাপ ট্রফিটার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি এককভাবে নিজেদের করে নেবে প্রোটিয়ারা।
আফগানিস্তানকে সেমিতে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়েই নক আউট পর্বের সর্বনিম্ন স্কোর এটি। এরআগে ১৯৭৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ৯৩ রানে অলআউট করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ১ম সেমিফাইনালে আফগানদের দেয়া ৫৭ রানের লক্ষ্যে ৬৭ বল বাকি থাকতেই ছুয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বলের হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় জয়।
ত্রিনিদাদে দুই ইনিংস মিলে খেলা হয়েছে মাত্র ২০.৪ ওভার। বলের হিসেবে ১২৪ বল। বিশ্বকাপের নক আউটে বলের হিসেবে এটিই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ম্যাচ। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেমি-ফাইনালের নিষ্পত্তি হয়েছিল ২০৩ বলে।
/আরআইএম
Leave a reply