রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহতের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম। এই দুই নেতার পাল্টাপাল্টি অবস্থানে স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে নিহত বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অভিযোগ করেন, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ এই হত্যাকাণ্ডের মূল মদদদাতা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার এই অভিযোগের বিষয়ে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। মরদেহ নিয়ে রাজনীতি করতেই শাহরিয়ার আলম এমন মন্তব্য করেছেন। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যেই তিনি এমনটা বলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আশরাফুল ইসলাম বাবুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে, গত ২২ জুন আধিপত্য বিস্তারের জেরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে এ ঘটনায় বাঘা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বাদী হয় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে এই মামলায় বেশকয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থক বলে জানা যায়।
/আরএইচ
Leave a reply