গত কয়েকটি আন্তর্জাতিক আসরে জার্মানির ফলাফল খুব একটা সাফল্যের নয়। নিজেদের মূল স্কোয়াড না নিয়েই কোচ জোয়াকিম লো ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতেছিলেন রাশিয়াতে। এই পর্যন্ত ডিম্যানশিফটদের গল্প একদম ঠিক ছিল। কিন্তু এরপরেই পতনের শুরু।
২০১৮, ২০২২ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের পাশাপাশি সবশেষ ইউরোতেও শেষ আটে পৌঁছাতে ব্যর্থ কিমিখ-নয়্যাররা। সম্প্রতি জার্মানির বয়সভিত্তিক দলগুলো উয়েফা ও ফিফার বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অবশ্য ইতিবাচক ফলাফলই বয়ে এনেছে। ইউরোতে রাউন্ড অব সিক্সটিনে আজ জিতলে ৭ বছর পর কোন টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচ জিতবে তারা। ২০১৭ কনফেডারেশন কাপ ফাইনালের পর এই কীর্তি আর গড়তে পারেনি ডিম্যনশিফটরা।
ইউরোর নকআউট পর্বে জার্মানির রেকর্ড অবশ্য ঈর্ষনীয়। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টটিতে ১০ বার গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে ৯ বারই তারা খেলেছে সেমি-ফাইনালে, যার মধ্যে ফাইনাল ৬টি। শিরোপা জিতেছে তিনবার, স্পেনের সঙ্গে যা যৌথভাবে রেকর্ড। বলা যায়, ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটিতে নকআউট পর্বের সেরা দল তারাই। এবারের আসর হচ্ছে তাদের ঘরের মাঠেই। গ্রুপ পর্বে দারুণ পারফরম্যান্সে আরও একবার অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়ার আশা জাগিয়েছে ডিম্যানশিফটরা।
১৯৯৬ সালের পর ইউরো জিততে পারেনি জার্মানি। খেলোয়াড় ও কোচ, উভয় ভূমিকায় ইউরো জয়ী একমাত্র ব্যক্তিও জার্মানির। ১৯৭২ সালে খেলোয়াড় হিসেবে ও ১৯৯৬ সালে কোচ হিসেবে এই স্বাদ পান বের্টি ফোর্টস।
ইউরোর প্রথম দুই আসরে (১৯৬০, ১৯৬৪) অংশ নেয়নি তখনকার পশ্চিম জার্মানি। ১৯৬৮ সালের আসরে তারা ব্যর্থ হয় বাছাইপর্ব পেরোতে। এরপরের টানা তিন আসরের ফাইনালে তারা। ১৯৭২ ও ১৯৮০ শিরোপা ঘরে তুললেও ১৯৭৬ সালের ফাইনালে হেরে যায় সেই সময়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে তারা মাত্র তিনবার। ১৯৮৪, ২০০০ ও ২০০৪ সালের আসরে।
গত কয়েক বছরে জার্মান ফুটবল চলছিল উল্টোরথে। এবারের ইউরোয় তাদের নিয়ে প্রত্যাশাও তাই বেশি ছিল না সমর্থকদের। তবে স্কটল্যান্ডকে ৫-১, হাঙ্গেরিকে ২-০ ব্যবধানে হারায় নাগলসম্যানের শিষ্যরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ড্র তাদের গ্রুপসেরা হয়ে নকআউটে জায়গা করে দেয়।
উল্লেখ্য, শেষ ষোলোয় শনিবার (২৯ জুন) জার্মানির প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। ৭ বছরের আক্ষেপ দূর করার দিন আজ।
/এমএইচআর
Leave a reply