নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্থানে আত্মঘাতী ও সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৯ জুন) এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৮ জন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৪২ জন। হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছে। হামলাগুলো ঘটে বিয়ের আসর, জানাজা ও হাসপাতালের মতো জায়গায়। খবর, বিবিসি’র।
বোর্নো রাজ্যের জরুরি বিভাগের তথ্য মতে, আত্মঘাতী হামলাকারীরা সেখানকার গোওজা শহরে শনিবার একটি বিয়ের আসর, জানাজায় ও হাসপাতালে বোমা হামলা চালায়। স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাইজেরিয়ার ভ্যানগার্ড এবং দিস ডে সংবাদপত্রে এসব বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ৩০ জন বলে উল্লেখ করেছে। হামলার পর দেশটির সামরিক বাহিনী গোওজা শহরে কারফিউ জারি করেছে। এখনও কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বোর্নে রাজ্যটি ১৫ বছর ধরে বোকো হারামের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাদের হামলায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ৪০ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৯ সাল থেকে লড়াই চালিয়ে আসছে বোকো হারাম নামের এক জঙ্গিগোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, ২০ কোটির বেশি জনসংখ্যার আফ্রিকার এই দেশটির উত্তর অংশে দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা চলছে। জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম দেশটিতে এ ধরনের বহু হামলা চালিয়েছে অতীতে। সেসব হামলার অনেকগুলোতেই নারী আত্মঘাতী বোমারুদের ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৫ সালে নাইজেরিয়ান বাহিনীগুলো শহরটি থেকে জঙ্গিদের হটিয়ে দেয়। কিন্তু তারপর থেকে বোকো হারাম জঙ্গিরা শহরটির আশপাশে নিয়মিত হামলা চালাতে থাকে ও লোকজনকে অপহরণ করা শুরু করে।
/এমএইচআর
Leave a reply