পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিদেশ চলে যাওয়া স্বাভাবিক নয় বলে মনে করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে বেসরকারি সংগঠন এলকভ আয়োজিত দুর্নীতির চ্যালেঞ্জ আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, দুর্নীতিতে সহযোগীরাই তাকে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছেন। কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কেউ নোবেল বিজয়ী হলেও বিচার থেকে দায়মুক্তি পেতে পারেন না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, দেশে আইনের শাসনের ঘাটতি রয়েছে। একেকজনের জন্য একেক আইন। কিছু মানুষের ব্যাপারে অনুসন্ধানই করা যাবে না। এটা চলতে পারে না।
প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসার পর থেকে তাকে নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে।
বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও রয়েছে। ওই সময় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি র্যাবের সাবেক কর্মকর্তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েন। যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা দেয়, তখন আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন বেনজীর আহমেদ।
/এমএন
Leave a reply