সদ্যই শেষ হলো নবম আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা ঘরে তুললো ভারত। মার্কিন মুলুক হয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ২৯ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্ট দিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর আইসিসি ট্রফি খরা কাটলো মেন ইন ব্লু’দের। আনলাকি থার্টিনের ধারা ভেঙে ১৩ বছর পর কোনো আইসিসির বিশ্বকাপ ইভেন্টেও শেষ হাসি হাসলো রোহিত শর্মার দল। তাই তো ১৪০ কোটির দেশে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আবহ। কাশ্মির থেকে কন্যাকুমারী কিংবা অমৃতসর থেকে আগরতলা, কোহলিদের এই অর্জনে বাঁধভাঙা আনন্দে মেতেছে সারা ভারতের মানুষ। বিসিসিআইয়েরও রয়েছে আলাদা পরিকল্পনা।
একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের তরফে জানা গেছে, দেশে ফেরার পর মুম্বাইয়ে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা পাবে ভারতীয় দল। এরপর দিল্লিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথেও দেখা করবে রোহিত-কোহলিরা। এর আগে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরও দেশে ফিরে ট্রফি প্যারেড করেছিলো মহেন্দ্র সিং ধোনিরা।
অবশ্য এবারের উপলক্ষ আরও রঙিন। ২০০৭ বিশ্বকাপের ৫ বছর আগে শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলো ভারত। কিন্তু এবারের অপেক্ষা ১১ বছরের। মাঝে একাধিক আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল হারের দগ্ধতায় পুড়েছে টিম ইন্ডিয়া। তাই এবারের সেলেব্রেশন একটু আলাদা, হবে বড় পরিসরে। ইতোমধ্যে ১২৫ কোটি রুপির পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে চ্যাম্পিয়নদের জন্য।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বেরেলের প্রভাবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আটকা পড়েছিল ভারতীয় দলসহ বিশ্বকাপ দেখতে সেখানে আসা সমর্থকরা। বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি অবশ্য ইতিবাচক কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ উপলক্ষে খেলোয়াড়, দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে তার সরকারের দায়িত্বে থাকা একাধিক বিভাগ। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি মূল ভূখণ্ডে আঘাত না হানায় ক্ষয়ক্ষতি থেকে অনেকটাই রক্ষা পেয়েছে দ্বীপদেশটি।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩ জুলাই) দেশের উদ্দেশে রওনা দেবে ভারতীয় দল। মুম্বাইয়ে নামার পরই শুরু হবে চ্যাম্পিয়নদের সেলেব্রেশন।
/এমএইচআর
Leave a reply