প্রায় ৬০০ বছরের ইতিহাস ব্রিটিশ পার্লামেন্টের। ওয়েস্টমিনস্টার পার করেছে অনেক চরাই উৎরাই, জন্ম দিয়েছে যুগান্তকারী অনেক ঘটনা আর সিদ্ধান্তের। ঐতিহ্য রক্ষায় সচেতন, ব্রিটিশদের এই পার্লামেন্ট নিয়েও রয়েছে নানা রীতি।
এরমধ্যে সবচেয়ে অন্যতম স্পিকার নির্বাচন। নতুন স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে নির্দিষ্ট আসনে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। স্পিকার এমন ভান করেন যেন তিনি তার আসনে বসতেই চাইছেন না। রাজা অষ্টম হেনরির শাসনামলে ৩ জন স্পিকারকে মৃত্যদণ্ড দেয়া হয়। সে ঘটনা থেকেই এই অদ্ভুত রীতি।
পার্লামেন্টে সরকার আর বিরোধী দলীয় এমপিরা বসেন মুখোমুখি। পার্লামেন্ট কক্ষের মেঝেতে দুটি লাল রেখা আছে, মাঝে দূরত্ব থাকে ২টি তলোয়ারের দৈর্ঘ্যের সমান। প্রচলিত আছে, যুদ্ধের সময় ২ পক্ষের সেনাদের মুখোমুখি অবস্থানকে নির্দেশ করতেই নাকি এমন রীতি।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আরেকটি অদ্ভুত রীতি রানীর কর্মকর্তাদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়া। ১৬৪২ সালে শেষবারের মতো হাউজ অব কমন্সে এসেছিলেন রাজা প্রথম চার্লস। এরপর কোনো রাজা কিংবা রানী আসেননি এখানে। তবে প্রতিবছর রানি উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে আসেন ভাষণ দিতে। তখন এমপিরা রানির কর্মকর্তাদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেন। যা পার্লামেন্টের স্বাধীনতাকে বোঝাতে করা হয়।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন চলাকালে কোনো এমপি কেউ কারো নাম ধরে ডাকতে পারবেন না। তাই একে অপরকে শুধুই মাননীয় সদস্য বলেই সম্বোধন করে থাকেন। কেবল স্পিকার সংসদ সদস্যদের নাম ধরে ডাকতে পারেন।
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিভিন্ন আইন লিপিবদ্ধ করা হয় পশুর চামরায়। যা ভেলাম নামে পরিচিত। গেল কয়েকশ বছর ধরে হাজারো আইন লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এই ভেলামে।
/আরআইএম
Leave a reply