নদ নদীর পানি বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধ না থাকায় জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ীর লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে কিছু কিছু জায়গায় বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল।
এছাড়া কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুরের সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চল।
মহারশি, সোমেশ্বরী ও চেল্লাখালী নদীর পানিতে শেরপুরে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। নালীতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৪০টি গ্রামের মানুষ তিন দিন ধরে দিন কাটাচ্ছে পানিবন্দি অবস্থায়।
অন্যদিকে ভারি বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ ও সিলেটে নদ-নদীর পানি আর বাড়েনি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমার পানি। তবে এখনও নিমজ্জিত নিম্নাঞ্চল।
তবে, নদীর পানি হাওরে প্রবেশ অব্যাহত থাকায় হাওরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত অবস্থাতেই রয়েছে। এখনও জলমগ্ন তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ জামালগঞ্জ, সদরসহ অধিকাংশ উপজেলার হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা। পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছেন অন্তত ২ লাখ মানুষ।
/এমএইচ
Leave a reply