আজ (৪ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। ১৭৭৬ সালের এই দিনে ১৩টি উপনিবেশের কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করে। অবশ্য এর দুই দিন আগেই প্রতিনিধিরা ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়। ২৪৮ বছর আগে আজকের দিনে স্বাধীনতা লাভ করে তারা। প্রতি বছর এদিনে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে দিবসটি উদযাপন করে মার্কিনীরা।
১৭৭৬ সালের ২ জুলাই ইংল্যান্ডের শাসন থেকে পৃথক হওয়ার জন্য ভোট দেন আমেরিকার দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস। এর দুদিন পর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু পৃথক হতে ব্রিটেনের সঙ্গে চূড়ান্ত স্বাক্ষর ২ আগস্টে অনুষ্ঠিত হলেও প্রত্যেক বছর ৪ জুলাই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে যুক্তরাষ্ট্র।
স্বাধীনতা দিবসের উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দেশটিতে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ এবং কনসার্ট। এ দিনটির জন্য জীবন দেন ২৫ হাজার বিপ্লবী আমেরিকান এবং ২৭ হাজার ব্রিটিশ ও জার্মান সেনা।
ফ্রান্সকে বলা হয়ে থাকে আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু দেশ। আমেরিকার আকাশে আজকের যে স্ট্যাচু অব লিবার্টি উঁচু করে মশাল ধরে দাঁড়িয়ে আছে তার পরিকল্পনা, নকশা, অর্থ সংগ্রহ এগুলো সবই হয়েছে ফ্রান্সের তত্বাবধানে।
দেশটির গৃহযুদ্ধে ও বিপ্লবে (১৭৭৫-৮৩) মার্কিনিদের বীরোচিত ভূমিকা, দাস প্রথার অবসান এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্মের পর বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ফ্রান্সের নাগরিকরা উপহার দিয়েছে এ ভাস্কর্যটি। তাই এই দিনে স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়।
উল্লেখ্য, স্ট্যাচু অব লিবার্টি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। যতদিন আমেরিকা থাকবে, ততদিন এ ভাস্কর্য স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে থাকবে।
/এমএইচআর
Leave a reply