শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় পঞ্চমবারের মতো ৬ মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আপিল ট্রাইব্যুনাল। এ ধাপে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।
শুনানি শেষে ড. ইউনূসের আইনীজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারের প্রতিহিংসায় স্থায়ী জামিন পাননি ড. ইউনূস। এ বিষয়ে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ড. ইউনূসকে হয়রানি বা প্রতিহিংসা কিছুই করা হচ্ছে না। মামলা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় চলছে। তারা নাখোশ হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন খুরশীদ আলম।
আদালত থেকে বেরিয়ে ড. ইউনূস বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার তুলনায় বেশি দোষারোপ করছেন গ্রামীণ ব্যাংককে। পাশাপাশি আজ আদালতের খাঁচাবন্দি না হতে পেরে আনন্দিত বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন আদালত।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। একই বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।
/এমএইচ
Leave a reply