সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের ‘হাড্ডি’ ভাঙার হুমকি সাবেক এমপি মোস্তাফিজের

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে মেরে হাড্ডি ভেঙে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে নালিশি মামলাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বাঁশখালীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে মামলাটি করেন বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি শফকত হোসাইন চাটগামী। তিনি স্থানীয় দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি।

বাদির আইনজীবী মোশাররফ হোসেন খান বলেন, আদালত বাদীর অভিযোগটি তদন্তের জন্য বাঁশখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে গালাগাল করতে থাকেন সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানতে চান, তার বিরুদ্ধে এসব কী লিখেছেন পত্রিকায়। তখন সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী বলেন, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর তার বক্তব্যে যা বলেছেন, তা–ই লেখা হয়েছে। তখন সাবেক এমপি সাংবাদিককে মেরে হাড্ডি ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গত ২৯ জুন উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তব্যে আবদুল গফুর কার্যালয় নির্মাণে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চাঁদা নেন বলে অভিযোগ করেন। পরদিন কয়েকটি গণমাধ্যমে গফুরের অভিযোগসংবলিত বক্তব্যটি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক ছাড়াও একই ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুরের ‘হাড্ডি’ ভেঙে ফেলবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। মুঠোফোনে আবদুল গফুরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগও উঠেছে।

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি পৌর সদরে নির্মাণ করা হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই কার্যালয় নির্মাণ শুরু হয়। এক বছর আগে কার্যালয়টির উদ্বোধন করা হয়। কার্যালয় করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা নেন বলে মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে ২০১৪ সাল থেকে টানা দুবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি ভোট চালাকালীন তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। বাঁশখালী থানা কার্যালয়ে হাজির হয়ে ওসির দিকে তেড়ে যাওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল।

মোস্তাফিজুর রহমানের কটূক্তি এবারই প্রথম নয়। এমপি থাকার সময় দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়েও কটূক্তি করে আলোচনায় এসেছিলেন মোস্তাফিজ। তার সেই কটূক্তির ভিডিও ভাইরাল হয়। এছাড়া প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে মিছিল করেও সমালোচিত হন তিনি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply