তাজনুর ইসলাম:
ঢাকার অক্সিজেনের ভাণ্ডার মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন বা জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে এই উদ্যানে দর্শনার্থীদের চাপ অনেকটা কম। টিকিট কাউন্টারে মানুষের তেমন ভিড় নেই।
সম্প্রতি বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ওয়ারীর বলধা গার্ডেনের প্রবেশ ফি ১০০ টাকা বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) থেকে নতুন এই ফি কার্যকর হয়।
এতে বলা হয়, ১২ বছরের বেশী বয়সীদের বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে। ১২ বছরের কম বয়সীদের গুনতে হবে ৫০ টাকা। তাছাড়া, নিয়মিত যারা এই দুটি উদ্যানে হাটতে যান তাদেরকে বাৎসরিক একটি প্রবেশ কার্ড করতে হবে। এই কার্ডের জন্য তাদের ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে।
এই ঘোষণার পর থেকেই দর্শনার্থীরা এটির বিরোধিতা করছেন। সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এই ফি বাড়ানো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। অনেকেই নতুন নির্ধারিত এই ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে একজন দর্শনার্থী বলেন, প্রবেশ ফি এক লাফে ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা উচিত হয়নি। জীবনযাত্রা দিন দিন অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অপর একজন বলেন, এই ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষকে উদ্যানে আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম টিয়া বলেন, প্রবেশ ফি ৪০ বা ৫০ টাকা করা হলে ভালো হতো। হঠাৎ করে ফি এতো বাড়ানো উচিত হয়নি। এ প্রভাবে উদ্যানে দর্শনার্থী কম আসছে। আরও কিছুদিন পর প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাত বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রবেশ ফি বাড়ানো হয়েছে। এটি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। উদ্যান কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র এটি বাস্তবায়ন করছে।
এদিকে, উদ্যানের প্রবেশ ফি নতুনভাবে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি একলাফে ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা উচিত হয়নি। এটিকে বাণিজ্যিকভাবে দেখা ঠিক নয়।
এমন পরিস্থতিতে উদ্যানগুলোর প্রবেশ ফি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্তের অপেক্ষা রয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
/আরএইচ
Leave a reply