‘সতীর্থদের বলেছিলাম, আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত নই’— জয়ের পর মার্টিনেজ

|

সংগৃহীত

আবারও এমি মার্টিনেজ, আবারও আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে আকাশি-সাদাদের জয়ের নায়ক গোলরক্ষক মার্টিনেজ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় যুক্তরাষ্ট্রের এনআরজি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডর। নির্ধারিত সময়ে ম‍্যাচ ১-১ গোলে ড্র থাকায় ফল নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম শট নেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে তিনি বল জালে জড়াতে পারেননি। তার শট বারে লেগে ওপরে দিয়ে চলে যায়। প্রথম শট মিস হওয়ার পর প্রত্যাশিতভাবে কিছুটা চাপে পড়ে আলবেসেলেস্তেরা। সে চাপ যেন একাই সামাল দেন মার্টিনেজ।

টাইব্রেকারে চারটি শট নিয়েছে ইকুয়েডর। যার প্রথম দুটিই রুখে দেন বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক। অ্যাঞ্জেল মেনা ও অ্যালান মিন্ডার শট রুখে দিয়ে ইকুয়েডরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে দলকে এগিয়ে রাখেন এমি। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেমির মঞ্চে পৌঁছে যান মেসি-আলভারেজরা।

খেলা শেষে ম্যাচসেরা মার্টিনেজ বলেন, ‘শুটআউটের আগে আমি সতীর্থদের বলেছিলাম- আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত নই। তারাও বাড়ি যেতে তৈরি ছিল না’। তাই জয়ের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, কোপা আমেরিকাও জিতেছি, তবুও এই দলটার আরও বেশি প্রাপ্য। ৩৫ দিন হয়ে গেছে একসঙ্গে আছি সবাই। তাই ব্যাপারটা অনেক আবেগের। শুধু তাই নয়, দর্শকদের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, এখানে আর্জেন্টাইনদের পাশাপাশি আমার পরিবারও উপস্থিত ছিল। এমি বলেন, মানুষ যে খেলা দেখতে চেয়েছিল, আমরা তা দিতে পারিনি, তবে শেষ পর্যন্ত আমরা জিতেছি।

শুটআউটে আত্মবিশ্বাসী থাকার ব্যাপারে মার্টিনেজ বলেন, আমি এটার জন্য কাজ করি, প্রতিদিন ৫০০টা শট প্রাকটিস করি। সবসময় নিজেকে ভালো অবস্থায় রাখার চেষ্টা করি, দলকে যেন সেরাটা দিতে পারি। জাতীয় দলের জন্য আমার সেরা পর্যায়ে থাকার চেষ্টা করি। সবাই এখানে আমাদের দেখার জন্য অর্থ ব্যয় করে এসেছে, তারা এমন জয় প্রাপ্য।

এই ম্যাচসহ এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো মার্টিনেজ টাইব্রেকারের মুখোমুখি হয়েছেন আর্জেন্টিনার হয়ে। প্রতিবারই ত্রাণকর্তা হিসাবে দেশকে জিতিয়েছেন। এরমধ্যে ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয় করে আলবেসেলেস্তেরা।

দলের জয়ের পর রদ্রিগো ডি পল বলেন , মার্টিনেজ প্রশংসার প্রাপ্য। সত্যিটা হলো, সে যা করছে তা রীতিমত পাগলামি, এটা তার প্রাপ্য। তিনি এই রঙের পোশাক পরতে ভালোবাসেন। সে আমাদের অনেক নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তি দেয়। আমরাও তার জন্য একই কাজ করার চেষ্টা করি।

উল্লেখ্য, রেকর্ড ১৬তম কোপার শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সেমিফাইনালে কানাডা এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ীদের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

/ওয়াইবি/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply