আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
কুয়ালালামপুর এবং সেলাঙ্গরের আটটি পৃথক স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১১ বাংলাদেশিসহ ৭৫ অভিবাসী নারীকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জিআইএম)। এছাড়া বিদেশি পতিতাবৃত্তি সিন্ডিকেটও ধ্বংস করেছে জিআইএম।
গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জালান তুন রাজাকের দুটি স্থানে এবং কুয়ালালামপুরের জালান পুডুর আরও ছয়টি স্থানে, শাহ আলমে কাম্পুং বারু সুবাং, পুচং এর পুচং টাউন সেন্টার, ক্লাং-এ তামান আন্দালাস জয়া, তামান বেয়ু এবং ক্লাং সেন্ট্রালে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতার হওয়া ৭৫ জনের মধ্যে ৩২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১১ বাংলাদেশি মহিলা, আটজন ভিয়েতনামের এবং ৬ জন ভারতীয় নারী। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ সাত বাংলাদেশি, দুইজন মায়ানমারের এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষকেও গ্রেফতার করে। যাদের বয়স ১৭ থেকে ৪৬ এর মধ্যে। ২৩ থেকে ৬৫ বছর বয়সী সাতজন মালয়েশিয়ান পুরুষ এবং একজন মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) জেআইএম মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেন, জনসাধারণের তথ্য এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোট ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানান, এই সিন্ডিকেটের কাজ ছিল বডি ম্যাসাজ এবং পতিতাবৃত্তির সেবা দেয়া। গ্রাহকরা ব্যক্তিগতভাবে প্রাঙ্গনে আসতেন এবং প্রদত্ত ক্যাটালগের ওপর ভিত্তি করে বিদেশি নারীদের বেছে নিতেন। এছাড়াও, গ্রাহকরা টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তাদের ছবি ব্যবহার করে বিদেশি মহিলাদেরও বেছে নিতেন বলে বিবৃতিতে জানান জিআইএম পরিচালক।
রুসলিনের মতে, গ্রাহকরা যখন রুমে প্রবেশ করবেন তখন প্রাঙ্গনের তত্ত্বাবধায়ককে নগদ অর্থ প্রদান করতে হবে এবং প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ৪০০ রিঙ্গিত পরিশোধ করতে হতো।
গ্রেফতার পরবর্তী পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৩ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী এবং চার ভিয়েতনামি মহিলা যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং দুইজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন ভিয়েতনামি মহিলা অতিরিক্ত অবস্থান করেছিলেন।
রুসলিন বলেন, আটক অন্যান্য বিদেশিদের দেশে থাকার বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট ছিল না। অপারেশনে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, ১৫ টি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট, ৫ টি ভিয়েতনামি পাসপোর্ট, কম্পিউটারের একটি সেট এবং ১০টি গ্রাহক নিবন্ধন কাজের বই ও নগদ অর্থ।
পরিচালক বলেন, যে সকল বিদেশিকে আটক করা হয়েছে তারা অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধ করেছেন। তাদের আরও তদন্তের জন্য সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
এছাড়া প্রাঙ্গনের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে সাতজন মালয়েশিয়ান পুরুষ এবং একজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৫৬(১)(ডি) এবং ১৯৫৯/এর অভিবাসন আইনের ৫৫ই ধারার অধীনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply