আরও হার্ডলাইনে যাবে সরকার, টার্গেট দুর্নীতিবাজ ধরা

|

ভাস্কর ভাদুড়ী:

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অঢেল সম্পদের তথ্য বের হয়ে আসার পরই নড়েচড়ে বসে সরকার। দায়িত্বশীল পদে থাকা পুলিশের সাবেক ও বর্তমান আরও কয়েকজনের দুর্নীতি নিয়েও আলোচনা চলছে। আলোড়ন তুলেছে দুর্নীতির দায়ে সম্প্রতি ওএসডি হওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের সম্পত্তির তথ্যও।

আমলাদের দুর্নীতির এমন তথ্যে বিব্রত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দুর্নীতির লাগাম টানতে সংসদে কঠোর সমালোচনা করেছেন মন্ত্রী-এমপিরা। দাবি জানিয়েছেন, প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নেয়ার।

ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, লোক দেখানো নয়, দুর্নীতি কমাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।

বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অঙ্গিকার করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা বলছেন, শুধু সরকারি কর্মকর্তা নয়; দুর্নীতি প্রমাণিত হলে দলীয় নেতারাও শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন না। তাদের মতে, দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে সমান চোখে দেখা হচ্ছে। কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে নয়, অঙ্গীকার অনুযায়ী দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে সরকার।

এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হচ্ছে না। কোনো সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা কিংবা সামরিক বা বেসামরিক বাহিনীর কাউকে টার্গেট করা হচ্ছে না। তাদের টার্গেট দুর্নীতিবাজরা, এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারি দলের নেতাদের আশা দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করতে পারলে দেশব্যাপী সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, কেউ জবাবদিহিতার বাইরে নয়। জবাবদিহিতা সবার জন্যই প্রযোজ্য।

এ সময় সরকারের বিগত দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে নানক বলেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযানের সময় যেসব মানুষের কারাগারে যাওয়ার কথা কেউ চিন্তা করতে পারেনি, তাদেরও দীর্ঘদিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতিবাজরা যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন, সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply