গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে হামলার দুই বছর আজ। ২০১৬ সালের এই দিনে আগুন দেয়া হয় কয়েকশ’ বাড়িঘরে। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিন সাঁওতাল, আহত হন অনেকে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার সমন্বিত তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, পিবিআই। যদিও তার দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকা নিয়ে অসন্তোষ সাঁওতালদের মাঝে। পুনর্বাসন দাবি উপেক্ষিত, তাই এ নিয়েও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে মনে।
পল্লীতে হামলা, আগুন আর হতাহতের ঘটনার দুই বছর পরও সাঁওতাল পরিবারগুলোর পরিচয়-পরাশ্রিত। কারও বাড়ির উঠান, কিংবা পরিত্যাক্ত জমিই এখন তাদের ঠিকানা।
হামলার শিকার অনেকে বেঁচে আছেন শরীরে ক্ষত চিহ্ন নিয়ে। মামলা আর তদন্তের ডামাডোলে অনেকটা আড়ালে চলে গেছে উচ্ছেদকৃতদের পূনর্বাসনের বিষয়টি।
হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলো এখন হিমঘরে। আগুন দেয়ার ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহীনির সদস্যদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললেও বিভাগীয় বা প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ধরাছোয়ার বাইরে মুল অভিযুক্তরা।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দেয়ার আশ্বাস ইউনিট প্রধানের।
নিহতদের স্মরণে দিনটিকে ‘সাঁওতাল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে উচ্ছেদ হওয়া অধিবাসীরা।
Leave a reply