বাউফলে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

|

ছবি: সংগৃহীত

বাউফল করেসপনডেন্ট:

পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

গত ৩০ জুন ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা মিমাংসার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য সময় নষ্ট করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই ভূক্তভোগী।

থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর ছাত্রী (১৬) মাদ্রাসা থেকে ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। একটি বিষয়ে রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে সে প্রাইভেট পড়েন। শহিদুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক। ৩০ জুন রবিবার বিকাল সোয়া ৬ টার দিকে প্রাইভেট শেষ হলে অন্যান্য শিক্ষার্থীকে বিদায় দিয়ে তাকে টেবিলে বসতে বলে। ওই সময়ে রুমের দরজা বন্ধ করে শহিদুল ইসলাম তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিক্ষার্থী ভয়ে ডাক-চিৎকার না করিয়া বাড়িতে গিয়ে বাবা মা’কে বলেন।

শিক্ষার্থীর মা (৪৫) বলেন, মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার আশা করছি। স্থানীয় প্রভাবশালী মোতাহের হোসেন, হারুন ও ইউপি সদস্য মনির হোসেন ইতিমধ্যে শালীস মিমাংশার নামে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন দেয়ার কথা বলে আমাকে চাপিয়ে দেয়। আমি এই শালিস মানিনা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভি করেননি। তার মুঠোফোনে  ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেয়নি। বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভূক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি; ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply