পানি কমলেও উন্নতি নেই দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির। এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদ-নদীর পানি। অপরিবর্তিত জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির। এখনও বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে যমুনার পানি। এতে পৌরসভাসহ ৩৩ ইউনিয়নের ২ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ। গবাদি পশুর সাথেই গাদাগাদি করে বাস করছেন তারা। জামালপুরেও ৬০ বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি। পানিবন্দি প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ।
ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীর দুটি পয়েন্টে বাঁধ এবং ফুলবাড়ির চরগোরক মণ্ডল এলাকায় গ্রামীণ সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য এলাকার মানুষও বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। তবে, ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্ট ও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি।
সুরমা-কুশিয়ারার পানি কমলেও অপরিবর্তিত আছে হাওরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমার পানি। তবে এখনও জলাবদ্ধ সুনামগঞ্জের পৌর শহরের নিম্নাঞ্চল।
এদিকে, নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করতে থাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ১২ উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুরসহ অনেক সড়ক এখনও পানির নিচে। বন্যার কারণে ত্রাণ আর বিশুদ্ধ পানির সংকটে সিলেটে এখনও বন্যা কবলিত প্রায় ৫ লাখ মানুষ।
/এনকে
Leave a reply