স্টাফ করেসপনডেন্ট, পটুয়াখালী:
বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন বেশ আলোচিত নাম সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী। ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল এবং ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের প্রোফাইলের কিছু স্ক্রিনশট অনেককে শেয়ার করতে দেখা গেছে। এতে তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ড, দান-খয়রাত ও পরহেজগারির নানা দৃশ্য প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
এর বাইরে কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন আবাসিক হোটেল সান মেরিনার মালিকানা দাবি করে ফেসবুকে শেয়ার বিক্রির পোস্টও নজর কেড়েছে অনেকের। তবে, ওই হোটেলের মালিক ও কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, সান মেরিনায় আবেদ আলীর কোনো শেয়ার নেই। হোটেলটির শেয়ার বিক্রিতে সৈয়দ আবেদ আলীর ঘোষণা দেয়াটা ছিল প্রতারণা। হোটেল সান মেরিনার মালিক লিবার্টি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন।
মোশাররফ হোসেন জানান, সৈয়দ আবেদ আলীর নামে তার হোটেলে কোনো শেয়ারের মালিকানা নেই। ২০১০ সালে কুয়াকাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়ায় ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, হোটেলটি এখনও নির্মাণ হয়নি। চারদিকে সীমানা প্রাচীর দেয়া, হোটেলের জায়গা খালি পড়ে আছে। তবে শ্রমিকদের থাকার জন্য বেশ কয়েকটি শেড তৈরি আছে। সেখানে একটি সাইনবোর্ড টানানো আছে।
এদিকে, শেয়ার বিক্রির বিষয়ে সৈয়দ আবেদ আলীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন বলে জানিয়েছেন মোশাররফ হোসেন।
গত ১৮ মে সৈয়দ আবেদ আলী ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, আমাদের নতুন হোটেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা। সমুদ্র কন্যার পাড়ে আজীবন থাকার ব্যবস্থা ও একই সাথে একটি হোটেলের মালিকানা অর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার কিনতে যোগাযোগ করুন।
হোটেলটির কেয়ারটেকার ফারুক হোসেন বললেন, রোজার সময় দাড়ি-টুপিওয়ালা ওই ব্যক্তি (আবেদ আলী) আমাদের হোটেলের সামনে এসে শেয়ার কেনার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আমাকে দিয়ে একটি ছবি তোলান, হোটেলের সাইনবোর্ডের সামনে দাড়িয়ে। পরে গতকাল দেখি সেই ছবি উনি ফেসবুকে দিছে। আসলে ওনার এখানে কিছুই নাই।
তবে আবেদ আলীর কুয়াকাটায় কোনও জমি আছে কি না সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার কথা জানান কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
/এমএন
Leave a reply