সম্প্রতি ১৬ প্রজাতির কীটপতঙ্গ খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। তালিকায় রয়েছে ফড়িং, পঙ্গপাল, নানা রকম ঝিঁঝিপোকা, রেশম পোকাসহ আরও নানা ধরনের কীটপতঙ্গ। দীর্ঘ গবেষণার পর এসব মানবদেহের জন্য নিরাপদ মনে করেছে সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি (এসএফএ)। এমনকি সংস্থাটি বলছে, প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এ সিদ্ধান্ত বেশ কাজে আসতে পারে। খবর, দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরপর থেকে দেশটিতে অনুমতিপ্রাপ্ত পোকামাকড় খাওয়ার জন্য উৎপাদন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা যাবে। তবে বন-জঙ্গলসহ যেখান-সেখান থেকে পোকামাকড় ধরে এনে রান্না করেই পরিবেশন করলে চলবে না। কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদন করা পোকামাকড়ই কেবল খাওয়া যাবে। আমদানির ক্ষেত্রেও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সিঙ্গাপুরের মানদণ্ড মানতে হবে।
এসএফএ’র এই ঘোষণায় বেশ খুশি দেশটির রেস্টুরেন্ট মালিকরা। এমনকি অধিবাসীদের একটি অংশও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। কারণ, চীন, জাপানসহ অন্যান্য দেশ থেকে সেখানে আসা অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে এসব কীটপতঙ্গ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা দীর্ঘদিন থেকে পোকামাকড় খেতে প্রচার চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে মানুষ ও পশুর প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে তা উৎপাদন এবং খাদ্যসামগ্রী তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশটির খাদ্য সরবরাহকারীরা ইতোমধ্যে চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের নিয়ন্ত্রিত খামার থেকে কীটপতঙ্গ আমদানির পরিকল্পনা করছে।
/এমএইচআর
Leave a reply