নেদারল্যান্ডস নাকি ইংল্যান্ড, ফাইনালে স্প্যানিশদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে কারা

|

সংগৃহীত

৩৬ বছর পর দলকে শিরোপা এনে দিতে নেদারল্যান্ডসের সামনে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ইউরোর প্রথম শিরোপা জিততে ডাচ বাধা পেরুতে হবে ইংলিশদের। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে আজ রাতে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

১৯৮৮ সালে শেষবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল নেদারল্যান্ডস। এরপর আর ফাইনাল খেলা হয়নি ডাচদের। তবে এবার তাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ ফাইনাল খেলার। ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত সেই উপলক্ষ এসে ধরা দেবে তাদের সামনে। নিজেদের জেতা একমাত্র ইউরোর শিরোপা এসেছিল ১৯৮৮ সালে জার্মানির মাটিতেই।

দুই দলই এখন পর্যন্ত পুরো আসরে নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেনি। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের খেলার ধরণ নিয়ে হচ্ছে বেশ সমালোচনা। তবে কঠিন মুহূর্তেও ইংল্যান্ডের এই দলটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বার বার, সেটা বেশ নজর কেড়েছে দর্শকদের। সুইজারল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও তারা ফিরে এসেছে।

এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ইংলিশরা। গত আসরে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। ফাইনালে ইতালির কাছে হারে দলটি। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ দল হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক ফাইনালে উঠার হাতছানি ইংল্যান্ডের কাছে। এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন, জার্মানি ও স্পেন টানা দুই ফাইনাল খেলেছিল।

এই পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের দেখা হয়েছে ২২ বার। যেখানে নেদারল্যান্ডসের জয় সাতটি, অন্যদিকে ইংল্যান্ডের জয় ছয়টি। বাকি নয় ম্যাচ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছে। শেষবার ২০১৯ সালে উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেমিফাইনালের ওই ম্যাচে ডাচদের কাছে ৩-১ গোলে হারে ইংলিশরা।

ফাইনালে যেতে লড়াই করতে চান ডাচদের কোচ রোনাল্ড কোমান। তিনি বলেন , সেমিফাইনালে জিততে আমাদের লড়াই করতে হবে। বুধবার ঐতিহাসিক দুই দেশের মধ্যে দুর্দান্ত এক রাত হতে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। আমাদেরও লড়াই করার মতো অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে।

রোনাল্ড কোমান বলেন, জাতি হিসেবে ক্ষুদ্র হতে পারি। কিন্তু আমরা ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও স্পেনের সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠেছি। এই সাফল্য পেতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তবে এটা আমাদের জন্য আরেকটি ফাইনালে ওঠার সুযোগ। পুরো জাতির জন্য এটা বিশেষ কিছু, আমরা সত্যিই গর্বিত।

অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের কোচ যে সেমিফাইনালেই থামতে চায় না, তা বেশ আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেছেন। ইংলিশ কোচ সাউথগেট বলেন, এটা ঠিক যে আমরা খুব চাপের মধ্যে ছিলাম। এ মুহূর্তে খুব বেশি গোল পাচ্ছে না দল। কিন্তু আমরা শেষ চার টুর্নামেন্টের তিনটিতেই সেমিফাইনালে উঠেছি। এবার আমরা এখানেই শেষ করতে চাই না, ফাইনাল খেলতে চাই।

ওয়াইবি/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply