ইউক্রেনের জন্য নতুন আতঙ্ক রুশ কেএইচ-ওয়ান জিরো ওয়ান মিসাইল

|

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার তৈরি কেএইচ-ওয়ান জিরো ওয়ান ক্রুজ মিসাইল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্রটির আঘাতে রীতিমত নাকাল কিয়েভ। পশ্চিমাদের থেকে পাওয়া আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না এই মিসাইল। শত্রুপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে টার্গেটকে নিমিষেই ধূলোয় মিশিয়ে দিতে সক্ষম, কেএইচ-ওয়ান জিরো ওয়ান।

গেল কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেন কাঁপাচ্ছে রুশ কেএইচ-ওয়ান জিরো ওয়ান মিসাইল। একদিকে নির্ভুল লক্ষ্যভেদ আর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষমতা, অন্যদিকে রাডার ফাঁকি দেয়ার সক্ষমতার কারণে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর আতঙ্কে পরিণত হয়েছে, এই মিসাইল।

সাব-সনিক ধরণের এই মিসাইল অবশ্য রুশ বাহিনীর বহরে নতুন নয়। ২০১২ সাল থেকেই এটি রয়েছে রুশ সমরভাণ্ডারে। তবে এত ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে এই প্রথমবারেরর মতো। ৭ দশমিক ৪৫ মিটার উচ্চতার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন প্রায় আড়াই হাজার কেজি। বহন করতে পারে সাড়ে ৪শ কেজির মতো বিস্ফোরক। ফলে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করতে পারে এই মিসাইল।

টারবো জেট ইঞ্জিন থাকায়, প্রতি ঘণ্টায় ছুঁটতে পারে ৯শ’র ও বেশি কিলোমিটার গতিতে। উড়তে পারে একটানা ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত। মুলত আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানে এটি।

মুলত নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত করার সক্ষমতাই এই মিসাইলের অনন্য বৈশিষ্ঠ্য। কেএইচ-ওয়ান জিরো ওয়ানের অপরেটিং সিস্টেমে সংযুক্ত থাকে লক্ষ্যবস্তুর মানচিত্র। ফলে টার্গেটকে খুব ভালোভাবেই অনুসরণ করতে পারে এটি। নিয়ন্ত্রণ করা যায় স্যাটেলাইট দিয়েও। শুধু তাই নয়, মাটি থেকে মাত্র ৩০ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে মিসাইলটি। সক্ষম, যেকোনো এয়ার ডিফেন্সের রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে। একারণেই ইউক্রেন যুদ্ধে এই মিসাইলকে ঠেকাতে রীতিমত ব্যর্থ পশ্চিমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

অত্যাধুনিক এই মিসাইলের রেঞ্জ, আড়াই হাজার থেকে ২৮শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত। যে কারণে, কেএইচ-ওয়ান জিরো ওয়ান নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করেই খুব সহজেই আরেক দেশে হামলা করতে পারবে মস্কো। যার সবশেষ উদাহরণ, কিয়েভের শিশু হাসপাতালে হামলা।

ওয়ান জিরো ওয়ান ছাড়াও, কেএইচ সিরিজের রয়েছে আরও কয়েকটি সংস্করণ। যার মধ্যে অন্যতম কেএইচ-১০২, ডাবল ফাইভ, থ্রি-টু এবং ডাবল টু।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply