আধুনিক ফুটবলে প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে ব্যবহার করা হয় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর। মাঠে থাকা রেফারি কিংবা লাইন্সম্যানদের সিদ্ধান্তকে রিভিউও করা হয় এর সাহায্যে। তবে এর বিপক্ষে বিতর্কও কম নয়। রয়েছে অসন্তুষ্টির নানা মন্তব্যও। এবার সেই একই সুরে গলা মেলালেন নেদারল্যান্ডসের কোচ রোনাল্ড কোম্যান।
চলতি উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ সেমিফাইনালের লড়াইয়ে ইংলিশদের কাছে ২-১ গোলে হেরে বার্লিনের টিকিট পায়নি ডাচরা। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ব্যাক টু ব্যাক ইউরোর মেগা ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এবার ইংল্যান্ডের সেই সমতা ফেরানো গোল নিয়ে ভিএআরের ওপর নিজের একরাশ হতাশা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন কোম্যান।
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে পেনাল্টিতে গোল পেয়ে স্কোর সমতায় আনেন ইংলিশ অধিনায়ক কেইন। যদিও সেই পেনাল্টির সিদ্ধান্তেই নাখোস ডাচ কোচ। কারণ, বক্সের ভেতর থেকে কেইনের শট ঠেকানোর চেষ্টা করেন ডাচ ডিফেন্ডার ডেনজেল দামফ্রাইস। কিন্তু ইংলিশ স্ট্রাইকারের পা লাথি মেরে বসেন দামফ্রাইস। সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি রেফারি। তবে ভিএআর রিভিউ শেষে বলা হয় পেনাল্টি পাবে ইংল্যান্ড। আর এতেই বাধে বিপত্তি।
কোম্যান বলেন, আমার মতে, এটি পেনাল্টি দেওয়া উচিত ছিল না। হ্যারি সেখানে শট নেয় এবং তাদের দুজনের পায়ে সংঘর্ষ হয়। আমার মনে হয় ভিএআরের কারণে আমরা ঠিকমতো ফুটবল খেলতে পারছি না। এটি সত্যিই ফুটবলকে বিনষ্ট করছে।
অপরদিকে ডাচ অধিনায়ক ভ্যান ডাইকের মতে, পেনাল্টির ওই সিদ্ধান্ত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা ম্যাচের বড় এক মুহূর্ত ছিল। ইংল্যান্ড এটা থেকে কিছু আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে যায়নি। তবে রেফারির ব্যাপারে কথা বলতে চাই না আমি।
উল্লেখ্য, ম্যাচের ৯০ মিনিটে ওয়াটকিনসের গোলে জয় নিশ্চিত করে বর্তমান রানার্সআপরা। আর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় ডাচদের। গত ইউরোতেও ফাইনাল খেলেছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু ওয়েম্বলিতে ইতালির কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় থ্রি লায়ন্সদের।
/এমএইচআর
Leave a reply