এমন ইউরো হয়ত ভুলে যেতে চাইবেন এমবাপ্পে

|

অনেক কিছুর মিশেলে অভিজ্ঞতা নিয়ে এবারের ইউরোতে নিজেদের যাত্রা শেষ করলো আসরের হট ফেবারিট ফ্রান্স। দলের প্রাণভোমরা কিলিয়ান এমবাপ্পেরও এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্স দেখা যায়নি এর আগের অন্য কোনো টুর্নামেন্টে। বলা হয়ে থাকে ক্লাবভিত্তিক আসরের চেয়ে জাতীয় দলে এমবাপ্পে আরও উজ্জ্বল। তবে এবারের ইউরোতে? যেন হিতে বিপরীত হয়ে ধরা দিল রিয়াল মাদ্রিদের এ ফরোয়ার্ড।

আসরে ফ্রান্সের শুরুটা হয়েছিল অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে। সেই ম্যাচে নিজের নাকে গুরুতর আঘাত পান এমবাপ্পে। এরপর মাস্ক নিয়ে খেলা, দেশের জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি সেই কাস্টমাইজ মাস্কও বাদ দিতে হয়েছিল মুখের সামনে থেকে। অনেকেই ভেবেছিলেন এমবাপ্পে স্বরূপে ফিরবে। কিন্তু দলের সামগ্রিক টুর্নামেন্টে ওপেন প্লে গোলই বলে দেয় ব্যক্তি এমবাপ্পে কতটা মলিন ছিলেন, যেখানে দলেরই এই হাল। তবুও শেষ চারে বর্তমান বিশ্ব রানার্সআপরা। তবে স্পেনের কাছে হার স্বপ্নভঙ্গ ঘটায় ফরাসিদের, সেইসাথে এমবাপ্পেরও।

সবশেষ দুই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে ফ্রান্স। রাশিয়া আর কাতারের পর ফরাসি ভক্তরা বার্লিনেও দেখতে চেয়েছিল তাদের পছন্দের দলকে। তবে ফ্রান্সের প্রস্থানের দিন তরুণ ইয়ামালের পুনর্জন্ম অনেক কিছুর ফোকাসও পরিবর্তন করে দেয়। পুরো আসরে এমবাপ্পের অবদান এক গোল ও দুই অ্যাসিস্ট। অথচ আগের আসরগুলোতে ফ্রান্সের হয়ে এই এমবাপ্পে ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। এবারের ইউরোর আগে কাতার বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন চেনা ছন্দে। এদিকে, দলের বিদায়ে কিলিয়ানকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ফরাসি সমর্থকরা। তাদের ধারণা, অধিনায়ক ভালো করতে পারেননি বলেই এতটা বাজে অবস্থা হয়েছে দলের।
 
সামনে মাদ্রিদের হয়ে লালিগা, কোপা দেল রে মাতাবেন কিলিয়ান। তবে লস ব্লাঙ্কোস শিবির ও মাদ্রিদিস্তারাও যেন এই এমবাপ্পেকে দেখে হতাশ। আসলেই তো, এমবাপ্পে নিজেই হয়তো ভুলে যেতে চাইবেন ইউরো ২০২৪ আসরকে।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply