কোটা আন্দোলন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

|

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে শিক্ষার্থীরা কোটবাড়ি এলাকায় জড়ো হয়ে মহাসড়কটি অবরোধ করে। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর ভবনের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপরই শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সারাদেশে চতুর্থ দিনের মতো চলছে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগসহ নানা ক্যাম্পাস এই ইস্যুতে উত্তাল। রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘গো ব্যাক গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বহালে গত ৫ জুনে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে, কোটাব্যবস্থা বাতিলে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে তাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চলে আসছে। প্রথম দুই দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফের এই কর্মসূচি চলছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতিবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো:

সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

/আরএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply