বৃষ্টি আর উজানের ঢলে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের কয়েক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটছে বানভাসী লাখো পরিবারের।
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের পানি বৃদ্ধিতে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৬টি উপজেলার ৪১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গা কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছানোর অভিযোগ রয়েছে। ছড়াচ্ছে চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগবালাই।
যমুনাসহ নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় সিরাজগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সিরাজগঞ্জে বন্যার পাশপাশি চলছে ভাঙন। জেলা সদর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় বিলীন হচ্ছে নানা স্থাপনা। প্রশাসনের হিসাবে, পানিবন্দি জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
কুড়িগ্রামে ধরলা, দুধকুমার, তিস্তা নদীর পানি কমলেও এখনও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। টানা ১১ দিনের বন্যা ও বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে কাটছে বানভাসীদের দিন। জেলার ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে অবস্থিত সাড়ে ৪ শতাধিক চরসহ প্রায় দেড় লাখ মানুষ বন্যায় অসহনীয়ভাবে দিন যাপন করছে।
এদিকে, উত্তরের কয়েক জেলাতেও প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট বানের জলে তলিয়ে থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট। গাইবান্ধাতেও ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানিতে তলিয়ে নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবার। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপর্যাপ্ত, বলছেন বানভাসীরা।
ভারী বৃষ্টির পর সিলেট-সুনামগঞ্জেও বেড়েছে নদ-নদীর পানি। এতে ভোগান্তি বাড়ছে বানভাসীদের। রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় স্থবির জীবনযাত্রা।
/এএম
Leave a reply