নোয়াখালী করেসপনডেন্ট:
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমানপ্রবাসী ছোট ভাইয়ের মরদেহ আনতে যাওয়ার পথে বাসে স্ট্রোক করে মারা গেছেন বড় ভাই। পাঁচদিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সিদ্দীক উল্যাহ মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে ছোট ভাই তাজুল ইসলামের (৫৫)) মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা। আর বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জানাজা শেষে বড় ভাই মো. দ্বীন ইসলামকে (৫৮) উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। গত বুধবার (১০ জুলাই) রাতে তিনি মারা যান।
জয়াগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ( মেম্বার) মাকছুদুর রহমান জানান, তাজুল ইসলাম গত ২০ বছর ধরে ওমানে থাকছেন। গত পাঁচ দিন আগে ওমানে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। শুক্রবার ১২ জুলাই সকালে তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল। এজন্য বড় ভাই দ্বীন ইসলাম দুদিন আগে ঢাকা যাওয়ার জন্য রওনা হন। যাত্রাপথে তিনি বাসের মধ্যে স্ট্রোক করে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাকসুদুর রহমান বলেন, দ্বীন ইসলামও দীর্ঘদিন ওমানে ছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত দেড় বছর আগে দেশে চলে আসেন। পরে তার সন্তানরা তাকে আর যেতে দেয়নি।
জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, শুক্রবার সকালে তাজুলের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর তার স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। তারা পৌঁছলে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
/এনকে
Leave a reply