সন্তানের সব অর্জন আর কৃতিত্বেই নাকি বাবা-মায়ের আনন্দে লুকায়িত থাকে। সেই বিবেচনায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বাবার নামটি হয়তো মৌনির নাসরাউয়ি। নামটা অপরিচিত হতেই পারে। তবে যার কারণে আজ তিনি গর্বিত, সেই লামিন ইয়ামালের বাবা নাসরাউয়ি।
বাবাকে গর্ব করার মতো যথেষ্ঠ উপলক্ষ এনে দিয়েছেন ইয়ামাল। ১৬ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে কেবল ইউরোর মাঠেই নামেননি, মেজর কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে গোল করে ভেঙেছেন পেলের রেকর্ডও। এই গোলের পরই আরও বেশি আলোচনায় এসছেন তিনি। প্রসঙ্গতই উঠছে লিওনেল মেসির সাথে ইয়ামালের নামটিও।
কারণ ২০০৭ সালে শরনার্থী ক্যাম্পে ইয়ামালের সঙ্গে মেসির তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন নাসরাউয়ি। এরপর সমর্থকরা বলতে শুরু করেন, মেসির ছোঁয়ায় তারকা হয়ে উঠছেন ইয়ামাল। তাই তার বাবার কাছে প্রশ্ন এসেছিল এই বিষয়ে মেসির আশীর্বাদ পুষ্ট কি-না ইয়ামাল। উত্তরটা বেশ মজার ছলেই দিয়েছেন নাসরাউয়ি।
লামিন ইয়ামালের বাবা মৌনির নাসরাউয়ি বলেন, এমনও তো হতে পারে মেসিই হয়তো আমার সন্তানের কাছ থেকে আশীর্বাদপুষ্ট। আমি জানি না। আমার কাছে আমার সন্তানই সবকিছুতে সেরা। সেটা শুধু ফুটবলে নয়, ভালোবাসা, ব্যাক্তি সবকিছুতেই।
ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার জুনিয়র দল থেকে উঠে এসেছেন ইয়ামাল। সেখানেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন এই ফুটবলার। ছোট বয়স থেকেই খেলাটির প্রতি ইয়ামালের আগ্রহ দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন তার বাবা।
লামিন ইয়ামালের বাবা আরও বলেন, আমি জানতাম সে একদিন তারকা হয়ে উঠবে। সব বাবারাই হয়তো তেমনটাই চায়। আমি তার জীবনে সেরাটাই কামনা করি। আমি আশা করি সে যেন ইউরো জিততে পারে। তাতে তার সাথে আমরাও চ্যাম্পিয়ন হব। অন্য সবার মতো আমিও আনন্দ নিয়ে খুব উপভোগ করছি। স্পেন ও দলের সকল ফুটবলারদের জন্য গর্ব হচ্ছে। ইয়ামালও উচ্ছ্বাসের মধ্যেই আছে। অন্য সব খুদেদের মতো সে-ও সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ইউরো জিততে চায়।
চলতি ইউরোতে মাঠে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন লামিন ইয়ামাল। স্পেনও ছুটছে দুর্দান্ত গতিতে। সব মিলিয়ে সময়টা ভালোভাবেই উপভোগ করছেন ইয়ামালের বাবা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা শিশু ইয়ামালের সাথে লিওনেল মেসির একটি ছবি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। সেই ছবির রেশ কাটতে না কাটতেই ইউরোর সেমিফাইনালে এই উইঙ্গারের চোখ ধাঁধানো গোলটি আবারও চলে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে বিষয়টি।
/ওয়াইবি/আরআইএম
Leave a reply