বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ বলেছেন, আজ ঐক্যফ্রন্টের ঢাকায় প্রথম জনসভা ছিলো। সেক্ষেত্রে আগের মতো অনুমতির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়নি। তবে যারা জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছেন তাদের জন্য সিটির বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দূর পাল্লার বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পদে পদে বাধা দেয়া হয়েছে। তাদরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনসভা থেকেও বলা হয়েছে পুলিশী হয়রানি ছিলো। সরকার অনুমতি দিলো আবার জনসভায় আসতে বাধা দিলো এবং ফেরার সময় গ্রেফতার করলো। তাহলে তো প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত টকশো ‘রাজনীতি’তে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। টকশো সঞ্চালনা করেন রোকসানা আনজুমান নিকোল। আজকের আলোচনার বিষয় ছিলো ‘সমঝোতা কতদূর?’
এসময় শওকত মাহমুদ আরো বলেন, সংলাপ তো এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তাহলে এরকম আচরণ কেন? শুধু গণভবনে সংলাপের সুবাতাস বইবে আর সারা দেশে গণগ্রেফতার করা হবে। এটা কাম্য নয়।
সংলাপের মধ্যে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের স্বপ্রণোদিত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন। আজ টোকনোক্রেট মন্ত্রীদের পদত্যাগের কথা বলেছেন। এটাকে আপনি আগাম সমঝোতার বার্তা ধরতে পারেন। তবে নির্বাচন কমিশনের অনড় অবস্থান দুঃখজনক। তারা ক্ষমতা দেখাতে চাইছে। নাকি সরকারের ইশরায় তারা চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
শওকত বলেন, সংলাপ নিয়ে আশাবাদী। যারা সংলাপ করছেন তারা টকশো করছেন না। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। কেউ কেউ মনে হচ্ছে সংলাপ সফল হোক এটা চাচ্ছে না।
Leave a reply